মোটরসাইকেল ইমারজেন্সি ইঞ্জিন ব্রেক করবেন যেভাবে| Motorcycle emergency breaking tips for Rider safety

কীভাবে সঠিকভাবে ব্রেক করবেন?
Motorcycle Emergency Breaking

Motorcycle Emergency Breaking: Essential Tips for Rider Safety মোটরসাইকেলে ইমারজেন্সি ব্রেকিং: কীভাবে সঠিকভাবে ব্রেক করবেন?


ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে কিভাবে অত্যন্ত কম দূরত্বে আপনার আপনার বাইক থামাবেন সে পদ্ধতি আমি এখন শেয়ার করতেছি ।

রাস্তায় চলার পথে অনেক সময় আমাদের হার্ড ব্রেক করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হার্ট ব্রেক করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা বাইরে থেকে পড়ে যায় এবং বিপদের সম্মুখীন হই।

জাস্ট ইমাজিন আপনি অনেক উচ্চ গতিতে বাইক চালাচ্ছেন হঠাৎ করে সামনে একটা কুকুর এসে পড়ল অথবা সামনে একটা স্পিড বের কর লক্ষ্য করলেন ।

তো এই ধরনের সিচুয়েশনে কিভাবে ব্রেকিং করতে হবে আমাদের ?

বাইকের এক্সিডেন্ট ঘুরালেই গতি বেড়ে যাবে কিন্তু সেই গতি থেকে বাইকটাকে নিরাপদ ভাবে থামানোর স্কিল টা হচ্ছে আসল স্কিল । যেটা সবাই পারেনা এবং বিশেষ করে নতুন বাইকাররা এ বিষয়ে একদমই কম ধারনা থাকে। তো আমরা কোন কোন পরিস্থিতিতে কোন ব্রেকটা কতটা পরিমাণ চাপবো সেটা এখন আমি আপনাদের শিখায় দিচ্ছি :


ফাস্ট ও ফল সর্বপ্রথম আমাদের যে জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে Don't be Panic:

যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের আতঙ্কিত হওয়া যাবে না , জাস্ট দেখুন সামনে আপনার বাইকের  স্পিড বেকার এবং আপনার বাইকের স্পিড ৮০ এর উপরে ।  তো এই মুহূর্তে আপনি আতঙ্কিত হয়ে আপনার হ্যান্ডেলটা অনেক লুজ ভাবে ধরলেন বা আপনি ব্রেক করাই ভুলে গেলেন তো এক্ষেত্রে আপনার বিপদটা কিন্তু দ্বিগুণ হয়ে গেল।

বাট আপনি যদি প্যানিক না হয়ে হ্যান্ডেলভারটাকে আরো শক্তভাবে ধরতেন এবং সঠিকভাবে ব্রেকগুলো প্রেস করতেন তাহলে, কিন্তু বিপদ থেকে কাটিয়ে উঠতে পারতেন। বাইকের ভেদে বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম আলাদা আলাদা রকম হয়ে থাকে।

যেমন:

  • একেবারে লোয়ার সিসি বাইকগুলোতে Drum ব্রেক।
  • তার থেকে একটু বেশি সিসির বাইক গুলোতে DISC ব্রেক
  • এরপর আসে CBS ব্রেক
  • এবং সবচেয়ে প্রিমিয়াম এবং লেটেস্ট বেকিং সিস্টেম হচ্ছে ABS।


আমি যে পদ্ধতিটা এখন শেখায় দিব, এটা সকল ধরনের ব্রেকিং সিস্টেমের জন্য।

ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে হঠাৎ ব্রেক করার প্রয়োজন হলে আমরা যে ভুলটা করি সচরাচর সেটা হচ্ছে প্রথমে আমরা ক্লাসটা চেপে ধরি এরপর যেকোনো ব্রেক সজরে প্রেস করি। কিন্তু এটা টোটালি একটি রং পদ্ধতি। ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে ক্লাস চেপে ধরে যদি আমরা ব্রেক করি তাহলে ব্রেকিং যে ডিসটেন্স এটা অনেকটাই বেড়ে যায়।

কেননা ক্লাস যদি আমরা প্রেস করি তাহলে বাইকটা অনেকটাই ফ্রি হয়ে যায় তাই এ ধরনের সিচুয়েশনে ক্লাস না ধরে ব্রেক করার পদ্ধতিটা আমাদের আয়ত্ত করতে হবে। আর ক্লাস না ধরে ব্রেকিং করার যে পদ্ধতিটা এটাকেই বলা হয় ইঞ্জিন ব্রেকিং। 


এরপর আমাদের যেটা মেইনটেইন করতে হবে সেটা হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ড রিয়ার ব্রেকের রেশিও। এক্সপার্টদের মতে ফ্রন্ট ব্রেকটা ৭০% এবং রিয়ার ব্রেক 30% প্রেস করতে হয়।

শুধুমাত্র ব্রেক সজোরে চেপে যদি আমরা ডিক্সটাকে লক করে ফেলি তাহলে বাইক ডিস ব্যালেন্স হয়ে আমরা বাইক থেকে পড়ে যাব। আবার শুধুমাত্র সামনেরটা যদি প্রেস করি তাহলে বাইকের চাকার স্কিপট করার পসিবিলিটি তো থাকেই, প্লাস বাইকের পেছনের অংশ শূন্যে উঠে যেতে পারে সেটা কি স্ট্যান্ডের ভাষায় স্টপি বলা হয় ।


তাই ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে ব্রেকিংয়ে আমাদের ইঞ্জিন ব্রেক ইউজ করতে হবে পাশাপাশি ফ্রন্ট এন্ড রেশিও এটা মেন্টেন করতে হবে তবে ব্রেক করতে গিয়ে আবার চাকা লক করে না ফেলি এদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। চাকা যদি লক হয়ে যায় তাহলে আমাদের ব্রেকটা ছেড়ে দিয়ে আবার ব্রেক করতে হবে এভাবে বারবার ব্রেক ধরবো এবং ছাড়বো যেমনটা এবিএস সিস্টেমের কাজ করে।


তবে আপনার বাইকে যদি এবিএস ব্রেকিং সিস্টেমটা থাকে তাহলে আপনার এত রুলস ফলো না করলেও চলবে জাস্ট হ্যান্ডেল বারটা সোজা রেখে ব্রেক গুলো সজোরে প্রেস করবেন কোন ভয়ভীতি ছাড়া। তাই আমাদের কিছু টাকা বেশি লাগলেও অবশ্যই এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম বাইক কেনা উচিত।


বাইকে ABS ব্রেকিং সিস্টেম থাকলে দুর্ঘটনার পসিবিলিটি ৪০% কমে যায় । আমি আমার নিজের লাইফ-এক্সপ্রেস থেকে বলতেছি এবিএস আসলেই একটি লাইভ সেভিং ব্রেকিং সিস্টেম।


এবার আসি কর্ণালিঙ্গে কিভাবে আমরা বেকিং করব?

কর্নারিং ব্রেকিং করা আর ছাদ থেকে লাফ দাও প্রায় একই কথা অর্থাৎ বাঁচার পসিবিলিটি দুইটাতেই কম। কিন্তু তবুও যদি আমাদের করেন ব্রেকিং এর প্রয়োজন পড়ে, তাহলে সর্বপ্রথম আমাদের ইঞ্জিন ব্রেকিং টাকে কাজে লাগাতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে পায়ের ব্রেকটা প্রেস করতে হবে, তবে ততটা পরিমাণ প্রেস করতে হবে যতটা প্রেস করলে পেছনের চাকাটা লক না হয়ে যায়।

পিছনের চাকাটা লক না হয়ে যায় পেছনের চাকার লক হয়ে গেলে কিন্তু পেছনের চাকরি করবে অনেক দূর চলে যাবেন। এরপরেও  যদি ব্রেকিং এ কাজ না হয় তাহলে ধীরে ধীরে ফ্রন্ট ব্রেকটা আমাদের প্রেস করতে হবে।


তাই আচমকা মোর বা কর্নিং টাইমে আমাদের বাইকের গতি কমিয়ে আনা উচিত যাতে করে আমাদের ব্রেকিং করার কোন প্রয়োজন না পড়ে।


অনেকেই আছেন ফ্রন্ট ব্রেক বা রিয়ার ব্রেক প্রেস করে অভ্যস্ত তারা অন্য ব্রেকটা ইউজ করতে চায় না, তো এটা কিন্তু অনেক বড় রকমের একটা ভুল এই ভুলটাই আপনার জীবন কেড়ে নিতে পারে। তাই আপনার চেষ্টা করবেন সব সময় ইঞ্জিন ব্রেকটাকে আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করবেন।


ইঞ্জিন ব্রেক+প্লাস ফ্রন্ট +এন্ড রিয়ার = এই তিনটা ব্রেক কম্বিনেশন চেষ্টা করবেন অল্প সময়ে বাইক থামিয়ে নিতে পারবেন।



পরিশেষে এটাই বলব যত গতি তত ক্ষতি।

চেষ্টা করবেন একটি লিমিটের মধ্যে বাইকের গতি রাখতে, মনে রাখবেন স্পিড থেকে নিরাপদ গতিতে থামানো টাই হচ্ছে আসল স্কিল।

আপনারা নিরাপদে বাইক চালাবেন আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ, আসসালাুআলাইকুম।



tags:

#Emergency Braking#Rider Skills#Riding Tips#Motorcycle Skills#Road Safety#BikerLife#Rider Safety#BrakingTechniques #Riding Community#RideSmart#Stay Safe#Motorcycle Riding#BikerTips#MotorcycleAwareness#Emergency Stop#MotorcycleSafety#Emergency Braking#Rider Skills#RidingTips#Motorcycle Skills #RoadSafety #BikerLife#Rider Safety#BrakingTechniques#RideSmart#Stay Safe#MotorcycleRiding#RidingCommunity#SafetyFirst#BikerTips#MotorcycleAwareness#EmergencyStop#BrakeControl#SafeRiding#MotorcycleTraining#BikeSafety#RidingTechniques #RiderEducation #Two Wheeler Safety#RoadAwareness#Biker Skills#MotorcycleBraking#BrakeTraining#bikeridingtips#মোটরসাইকেল#ইমারজেন্সিব্রেকিং #ব্রেকিংপ্রযুক্তি #রাইডারনিরাপত্তা#সড়কনিরাপত্তা #বাইকার #মোটরসাইকেলইউটিউব#সাইকেলসেফটি # ট্রাফিকসেফটি # জীবনরক্ষা#টেকনোলজি #বাইকার্স#মোটরসাইকেলব্রেকিং#টিপস এন্ডট্রিকস

Previous Post Next Post

Contact Form