এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখার নিয়ম ২০২৩ | seo friendly content writing sample

seo friendly article example

এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখার নিয়ম |seo friendly content writing tips 

আজকে আমরা জানবো কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখতে হয়। এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট আপনাকে সার্চ ইঞ্জিনে আরও ভালো র‌্যাঙ্ক করতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন জেনে নেয় এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখার নিয়ম সব‌চে‌য়ে কার্যকার‌ি ১২‌টিপস৷

একজন পাঠক তখনই আপনার সাইটে আসবে যখন আপনার লেখার স্টাইল ব্লগ পোস্ট ভাল SEO টাইটেল, সাব টাইটেল, ক্লিন ডেস্কিপশন, লিঙ্ক ফটো দেখে পাঠক সহজেই বুঝতে পারে পোস্টটি মানসম্মত।

তো বন্ধুরা, আজকে আমরা জানব কিভাবে একটি ভাল SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখতে হয়, এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট কি? এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখার নিয়ম।


SEO Frienly পোস্ট কি? seo friendly meaning 

পোস্ট এমনভাবে লেখা ও অপটিমাইজ করা উচিত, যাতে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনে আমাদের ওয়েবসাইট ও পোস্টের র‍্যাঙ্কিং ভালো হয়। আর যদি কোন পোস্ট শুধুমাত্র ইউজার ফ্রেন্ডলি  হয় ; SEO এর জন্য অপ্টিমাইজ করা না হয় তাহলে সেই পোস্ট কখনই গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে র‌্যাঙ্কিং করবে না।

আরও পড়ুন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট A টু Z গাইডলাইন | Web Development Guidelines Bangla A to Z | techsohag.com

আপনি যখন শুধুমাত্র এসইওকে মাথায় রেখে বেশি করে কীওয়ার্ড ব্যবহার করে একটি ব্লগ পোস্ট লেখবেন; যাতে  করে আপনার পোস্ট গুগলের প্রথম পাতায় দেখায়। কিন্তু  এতে পাঠ্যের পাঠযোগ্যতা নষ্ট করে দেয়। একটি পোস্ট লেখার সময়, কীওয়ার্ডগুলি প্রয়োজনের চেয়ে বেশিবার ব্যবহার করা ঠিক না। যেখানে প্রয়োজনীয় কীওয়ার্ড দেওয়া যায় না, সেখানে কীওয়ার্ড দিবেন না।

অতএব, এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখার নিয়ম হলো পোস্টের বিষয় বুঝতে গুগল ও পাঠকের কোনো সমস্যা না হয়। তাই এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখতে নিচে উল্লেখিত কিছু বিশেষ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। ভাল ভাবে আপনার পোস্ট এবং আর্টিকেল অপ্টিমাইজ করবেন। 


১. লেখার আগে আপনার লেখার বিষয় সম্পর্কে রিসার্চ করুন

যেকোন বিষয়ে লেখার আগে সেটা নিয়ে যতটা সম্ভব গবেষণা করে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। এতে আপনার লেখা পাঠকরা সম্ভব বেশি পড়তে চাইবে; বেশি বেশি লাইক ও শেয়ার করবে। তাতে পোস্টের লিঙ্ক সার্চ ইঞ্জিনগুলিতে ভাল র‌্যাঙ্কিং শুরু করবে।


২. SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্টের জন্য সঠিক কীওয়ার্ড | What is Keyword Planner?

এসইও ফ্রেন্ডলী কিওয়ার্ড আপনার পোস্টকে সার্চ ইঞ্জিনের সামনে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। আমরা যখন কোনো কিছু সার্চ করি, সার্চ  এর কিওয়ার্ডের যে কীওয়ার্ডএর সাথে মিলে যায় সেই পোস্টের লিংক সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে চলে আসে। তাই আপনার পোস্টএর কীওয়ার্ড কি হওয়া উচিত খুঁজে বের করুন।

কিন্তূ খেয়াল রাখতে হবে আপনার পোস্ট রিলেটেড কীওয়ার্ড আপনার ব্লগ পোস্টের সাথে স্বাভাবিকভাবে সম্পর্কিত থাকবে । মনে আপনার পোস্ট সম্পর্কিত কীওয়ার্ড ব্যাবহার করবেন। জনপ্রিয় কীওয়ার্ড ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন কীওয়ার্ড নির্বাচন করুন । যেমন ধরুন, আপনার বিষয় হল “কীওয়ার্ড প্ল্যানার”। তাই লোকেরা অবশ্যই কীওয়ার্ড টুল লিখে সার্চ করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কীওয়ার্ড হিসাবে "কীওয়ার্ড টুল" সিলেক্ট করতে পারেন।

কম কম্পিটিশন কীওয়ার্ড  - কম প্রতিযোগিতায় আছে এমন কীওয়ার্ডের বেছে নিন । এতে সেই নির্বাচিত কীওয়ার্ড দিয়ে, আপনি অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবেন। আর যদি এমন একটি কীওয়ার্ড সিলেক্ট করেন যার প্রতিযোগিতা খুব বেশি। তাতে আপনার পোস্ট র‍্যাঙ্ক করতে পারবে না। কেননা ইতোমধ্যে অনেক পোস্ট রাঙ্ক করে ফেলেছেন

কীওয়ার্ড প্ল্যানার কি? কোথায় কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন? কীওয়ার্ডটি পোস্টের আর্টিকেলে, পোস্টের টাইটেলে,  এবং পোস্টের একেবারে শেষে ব্যবহার করুন। যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। যাতে আপনার পোস্টটি পড়ার সময় মনে হবে না যে কীওয়ার্ডটি জোর করে দেওয়া হয়েছে।  একই কীওয়ার্ড বারবার ব্যবহার করাবেন না; এতে কীওয়ার্ড স্টাফিং হতে পারে। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য কীওয়ার্ড প্ল্যানার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, Keyword Tool ,  SEMRUSH, Google Keyword Planner ইত্যাদি। গুগল কীওয়ার্ড প্ল্যানার একটি খুব ভাল  ফ্রী কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল। এটি দিয়ে আপনি আপনার পোস্টের জন্য একটি ভাল কীওয়ার্ড বেছে নিতে পারবেন।

গুগল সার্চ কিওয়ার্ড কি? গুগল সার্চও ভালো কীওয়ার্ডের জন্য সাজেশন দেয়। আপনাকে গুগল সার্চে কীওয়ার্ড সম্পর্কিত অর্ধেক বাক্য লিখতে হবে এবং গুগল আপনার জন্য ভালো কীওয়ার্ড সাজেস্ট করে দেবে।

আরও পড়ুন: কীভাবে Low Competition Keyword খুঁজে বের করতে হয় | low competition niches for blog 2023


লং টেইল কীওয়ার্ড কি? 3 থেকে 4 শব্দ বিশিষ্ট কীওয়ার্ডকে লং টেইল কীওয়ার্ড বলে। যেমন,এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ, এসইও কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল, এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। সার্চ ইঞ্জিন লং টেইল কীওয়ার্ড পছন্দ করে; কারণ পোস্টের ধারণাটি 3 থেকে 4 শব্দ দ্বারা পরিচিত হয়। পোস্টটি কোন বিষয় সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানা যায়।

একটি পোস্টে কয়টি কীওয়ার্ড  থাকা উচিত? একটি পোস্টে কীওয়ার্ড 1% থেকে 2.5% এর মধ্যে হওয়া উচিত। অর্থাৎ যদি 1000 শব্দের একটি পোস্ট থাকে তবে আপনি এতে কমপক্ষে 10 বার এবং সর্বোচ্চ 25 বার কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। কিওয়ার্ড 1.5% থেকে 2% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন, কারণ এই কিওয়ার্ডের ঘনত্ব খুব ভালো। কিন্তু কীওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি বাক্যটি যেন মনে না হয় যেন এসইও-এর জন্য এতে কীওয়ার্ড সেট করা হয়েছে।

গুগল কীওয়ার্ড এর স্বাভাবিক উপায়ে ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়, যেখানে এটি বাক্যে প্রয়োজন। কত শতাংশ কীওয়ার্ড থাকতে হবে, তা বলা হয়নি। কিন্তু যে পোস্টে স্বাভাবিকভাবে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হবে, সেটি সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‍্যাঙ্ক করতে পারে। তাই সঠিক জায়গায় কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আপনি যদি এটি অনেকবার ব্যবহার করেন তবে পোস্টটি অপ্টিমাইজ নষ্ট হবে।


৩. প্যারাগ্রাফের সঠিক ব্যবহার করুন | Paragraph writing rules?

প্যারাগ্রাফ লেখার নিয়ম? প্যারাগ্রাফ ব্যবহারের নিয়ম হলো প্রতিটি ধারণা আলাদা প্যারাগ্রাফে লিখা। যাতে একটি বিষয় সম্পর্কিত মূল ধারণা শুধুমাত্র একটি লাইনে লেখা থাকে। অপ্রয়োজনীয় প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করা উচিত নয়। প্যারাগ্রাফটি দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত হতে পারে, তবে এটি মূল ধারণাটি প্রকাশ করতে সক্ষম হওয়া উচিত। যেমন: একটি ধারণা ৪ বা ৫ বাক্যে প্রকাশ করা হয় তবে সেই প্যারাগ্রাফটি ৪ বা ৫ বাক্যেই রাখুন। খুব বড় করার দরকার নাই।


৪. হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা। html এ হেডিং ট্যাগ কয়টি 

আমরা যদি হেডিং ট্যাগ ব্যবহার না করে একটি পোস্ট লিখি সেই পোস্ট বা নিবন্ধটি 2000 থেকে 6000 শব্দে পরিণত হয়; তাহলে চিন্তা করুন আপনি কিভাবে বুঝবেন এত বড় টপিক কি? এটা পড়তে কত বিরক্তিকর হবে কল্পনা করুন. টাইটেল ট্যাগ ছাড়া 6000 শব্দের পোস্ট কেউ পড়তে চাইবেনা অবশ্যই।

তাই টাইটেল ট্যাগগুলিও পোস্টটি কোন বিষয় সম্পর্কে নির্দেশ করছে এজন্য হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে; কারণ এটি এসইও জন্য বেশ উপকারী।

হেডিং ট্যাগ যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার পোস্টের বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে; যা র‌্যাঙ্কিংকের জন্য অনেক কার্যকরী। যেমন, হেডিং ১ হেডিং ২, হেডিং ৩ ইত্যাদি। যদি আপনার পোস্টটি খুব দীর্ঘ হয়, প্রয়োজন অনুশারে আপনি হেডিং ১ থেকে হেডিং 4 ব্যবহার করতে পারেন।

৫. এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট কত বড় হবে? How big are SEO friendly posts?

একটি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট কত বড় হবে এটি নির্ভর করে আপনি কত শব্দে পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন। যেমন: যদি ৩০০ শব্দের একটি পোস্ট লিখছেন, তাহলে সেই পোস্টের মাধ্যমে আপনি যে তথ্য দিতে চান। সেই তথ্যটি ৩০০ শব্দের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়া উচিত। অন্যথায় পোস্টটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখায় এটি খুবছোট বা খুব বড় হওয়া উচিত না কারণ ছোট হলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস হয়ে যায়। তবে মনে রাখবেন, কমপক্ষে ৩০০ শব্দের চেয়ে কম তথ্য দেওয়া পোষ্ট এসইও এর জন্য ভাল নয় ।


আরও পড়ুন: সি এস এস ( Css ) শিখুন , আইডি ( Id ) এবং ক্লাস ( Class ) এর উপযুক্ত ব্যবহারসহ!


বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, ২০০০ এর বেশি শব্দের পোস্টগুলি গুগলে আরও ভাল র‍্যাংক হয়।  কিন্তু এর মানে এই নয় যে, ছোট পোস্ট ভালো নয়। আপনার পোস্ট বেশি পরিমাণে নয় বরং উচ্চ মানের হাই কোয়ালিটি করা উচিত; এখানে কম বেশি বিষয় না, সব কিছু গুণের ব্যাপার।


৬. পোস্টর স্ট্রাকচার তৈরি করা |Create poster structure 

একটি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখতে পোস্টের অংশ, টাইটেল, লিঙ্ক, টাইটেল, ভূমিকা, প্যারাগ্রাফ, উপসংহার ইত্যাদি। এই সব জিনিস একটি ব্লগ পোস্ট গঠন বলা হয়। যেমন:

পোস্টের টাইটেল কি - কোনটি মূল পোস্টের টাইটেল, সেটা নির্দেশ করে।

ভূমিকা- পোস্টটি সম্পর্কে সংক্ষেপে পরিচয় করিয়ে দেয়।

প্যারাগ্রাফ কি - পোস্টের প্রতিটি ধারণা আলাদা প্যারাগ্রাফ করে লিখুন।

টাইটেল কি - টাইটেল দ্বারা, পোস্টের বিষয়কে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা হয়।

পোস্টের মূল অংশ - পোস্টের মূল অংশে পোষ্ট এর মূল কথা জানানো।

লিঙ্ক পোস্ট কি - আপনার অন্য পোস্টে একটি লিঙ্ক যোগ করে দিন।

উপসংহার- পোস্টের শেষে উপসংহার এ এই পোস্ট থেকে কী তথ্য পেয়েছি সেটা লিখুন।


৭. এসইও ফ্রেন্ডলি টাইটেল এবং পারমালিঙ্ক | SEO friendly titles and permalink use

পোস্টের টাইটেল থেকেই সার্চ ইঞ্জিন জানতে পারে পোস্টটি কোন বিষয়ে লিখা। তাই পোস্টের টাইটেল এবং কীওয়ার্ডগুলি আপনার বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হওয়া উচিত। 

পোস্টের টাইটেল ৫৫ থেকে ৬০ সর্বোচ্চ অক্ষরের মধ্যে হওয়া উচিত। যাতে সার্চ ফলাফলের পেজে সম্পূর্ণ দেখায়; এর চেয়ে বড় হলে, পোস্টের টাইটেল সার্চ ফলাফল পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শিত হবে না। টাইটেল এ টার্গেট কীওয়ার্ড রাখবেন।

এসইও টাইটেল আকর্ষণীয় হতে হবে, যা দেখে ব্যবহারকারী ক্লিক করবে। একইভাবে url বা permalink খুব বড় না করে আকর্ষণ করতে হবে।


৮. মেটা ডেসক্রিপশন কি? meta description example 

পোস্টের টাইটেল এবং মেটা ট্যাগ দুটোই র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য খুবই মূল্যবান। কারণ সার্চ করলে এই দুইটি জিনিসই সার্চ পেজ এ দেখায়; উপরে পোস্টের টাইটেল এবং নীচে এটি একটি সংক্ষিপ্ত মেটা ডেস্কিপশন (বিবরণ) । ডেসক্রিপশন সার্চ ইঞ্জিনের র‌্যাঙ্কিংয়েও অনেক অবদান রাখে; আমরা যদি SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখি, তাহলে আমরা মেটা ডেস্কিপশন বাদ দিতে পারিনা।

একটি মেটা ডেস্কিপশন হলো পোস্ট সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি; যা আমরা সর্বোচ্চ ১৫৬ অক্ষরে লিখতে পারি। মেটা বিবরণী ১৫৬টি অক্ষর ব্যবহার করেই লিখতে হয়, আপনি যদি এই বিবরণটি খুব দীর্ঘ করেন তবে এটি অনুসন্ধান ফলাফল পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শিত হবেনা৷ এবং খেয়াল রাখতে হবে,  Meta Description এও পোস্টের সাথে সম্পর্কিত কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।


৯. ছবি ব্যবহার করা | add picture your content 

একটি পোস্টে ছবি, ইনফোগ্রাফিক্স, গ্রাফ, ভিডিও  ইত্যাদি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে কন্টেন্টের গুণমান আরও বাড়ে এবং SEO-তেও সুবিধা হয়; পোস্টে ছবি ব্যাবহার পোস্টকে খুব এসইও ফ্রেন্ডলি করে তোলে। আপনি যদি একটি লম্বা পোস্ট লিখেন এবং তাতে একটি ছবিও ব্যবহার না করেন; তাহলে, পাঠকরা এতে বিরক্ত হয়ে আপনার সাইতে আসা বন্ধ করে দিতে পারেন।

আপনি যখনই একটি ছবি আপলোড দিয়ে পোষ্ট লিখবেন, তাই সেই ছবির নামও আপনার পোস্টের মতো হওয়া উচিত। উদাহরণ: ধরুন, আমি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট সম্পর্কে লিখছি। তাই ছবির নাম হতে হবে "SEO Friendly BlogPost.jpg"। আপনি যদি আপনার পোস্টে একাধিক ছবি আপলোড করতে চান করুন,তবে চেষ্টা করুন; কিন্তু চেষ্টা করবেন ছবির কিওয়ার্ডটি অবশ্যই যাতে আপনার পোস্টের সাথে সম্পর্কিত হয়।

what is alt tag in seo ? ফটোতে ALT ট্যাগ লিখুন। আপনি ফটো আপলোড করার সময় অথবা, ছবির এডিট অপশনে গিয়ে পরে ALT এড করতে পারেন। তবে ALT ট্যাগে অবশ্যই পোস্টের সাথে সম্পর্কিত কীওয়ার্ড লিখুন। ALT লেখার কারণ হলো যাতে সার্চ ইঞ্জিন বট ALT পড়ে, বুঝতে পারে  পিকটি কি সম্পর্কিত।

এবং মনে রাখবেন, আপনি যদি পোস্টে একটি ভিডিও আপলোড করতে চান তবে ভিডিওটি অবশ্যই আপনার পোস্টের বিষয়ের সাথে মিল থাকতে হবে।


১০. একটি পোস্টে অন্যপোস্টের লিঙ্ক এড করা|add a link to another post 

আপনি যে পোস্টটি লিখছেন, সেখানে আপনি আগের পোস্টের একটি লিঙ্ক যুক্ত করে দিন; এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারদের জন্য আপনার সম্পূর্ণ সামগ্রী ক্রল করা সহজ করে তোলে।

তবে, যোগ করা লিংক অবশ্যই আপনার পোস্টের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ মনে করুন, আমি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট সম্পর্কে লিখছি তাই আমি শুধু এসইও সম্পর্কিত পোস্টের লিঙ্ক যোগ করব। যেমন, এসইও কি?, অন পেজ এসইও কি? ব্লগার এ SEO কিভাবে করবেন e.t.c কেননা, আপনার পাঠকরা অবশ্যই SEO সংশ্লিষ্ট পোস্টে ক্লিক করবে, কারণ তারা এসইও সম্পর্কে জানতে চাইবে ।  


১১. নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করুন | Post content regularly

আপনি যদি নিয়মিত আপনার ব্লগে কন্টেন্ট পোস্ট ও আপডেট করেন; তাহলে সার্চ ইঞ্জিন সেই ব্লগের বাড়িয়ে দিবে। এটি ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, সাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট ও  আপডেটে রাখুন। কারণ, নিয়মিত পোস্ট করলে ব্লগের কনটেন্ট বাড়বে; আপনি আরও ভিউ পাবেন এবং আপনার আয়ও বেশি হবে।


১২. পোস্ট করার আগে চেক: প্রুফ রিডিং | reading proof meaning 

প্রুফ রিডিং কি? যে কোনও আর্টিকেল পোস্ট করার আগে পোস্টটি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্টের কিনা একবার, দুইবার ভালভাবে  পড়ে পরীক্ষা করা উচিত। পোস্টটি বারবার পড়ার সুবিধা হলো পোস্টে শব্দ, বাক্যে কোনো ভুল বা কিছু মিস হয়ে না যায়।

আর আপনি যদি ভুল শব্দ এবং বাক্য দিয়ে কোনো আর্টিকেল পোস্ট করেন, তাহলে পাঠকরা বুঝতে পারবে; এবং কয়েক দিনের মধ্যে আপনার ব্লগে আসা বন্ধ করে দেবে; সেজন্য প্রুফ রিডিং গুরুত্বপূর্ণ।


তো বন্ধুরা, এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের এই  ছিল আমাদের পরামর্শ। আশা করছি এই পোস্টে উপরে উল্লিখিত টিপস অনুসরণ করে, আপনি একটি খুব ভাল SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখতে পারবেন।


Previous Post Next Post

Contact Form