পড়াশোনা মনে রাখার সহজ উপায় | porasona mone rakhar upay

 

পড়াশোনা মনে রাখার সহজ উপায় | porasona mone rakhar upay 

পড়াশোনা মনে রাখার সহজ উপায়


সারাদিন অনলাইনে facebook, youtube, instagram ও games নিয়ে পড়ে থাকলেও মনোযোগ হারায় না কিন্তু পড়তে বসলেই যেন মনোযোগ জানালা দিয়ে পালায় যায়; ঘুম ঘুম আঁকড়ে ধরে।


বই হাতে নিলে যেন ঘুম পায়, মন বলে একটু ঘুমিয়ে নিয়ে পরে করব কিন্তু সে পর আর পড়া হয়না অথবা পড়লেও মনে থাকে না। একটা সাবজেক্ট বারবার পড়ার পরেও মনে যেন থাকছেই না।


অথচ পাশে আমার বন্ধুদের দেখি আমার থেকে অনেক কম পড়ে কিন্তু পরীক্ষার খাতায় ভালো নাম্বার পায় সবাই তাকে ভালো স্টুডেন্ট বলে। আজকে এই আটে খেলে আমরা জানব পড়াশোনায় মনোযোগ হওয়ার দশটি উপায়; যা আপনার পড়াশোনা মনে রাখার জন্য অনেক কার্যকরী হবে চলুন শুরু করা যাক;---


০১. মনস্থির করা

কোন কিছুর মনে রাখার প্রথম বিষয়টি হল মনোযোগ আনা আপনি যা কিছু করেন না কেন যদি সেটা মন দিয়ে মনোযোগ সহকারে না করেন সেটা পরেরবার আর মনে রাখতে পারবেন না। তাই অল্প কিছু পড়ুন সেইটা খাতায় লিখুন দেখবেন পরবর্তীতে সেটা সহজে মনে থাকছে।


পড়াশোনা করার মানসিকতা আগে করতে হবে যখন আপনি পড়তে বসবেন তার পাশ থেকে ৭ মিনিট আগে মানুষ ফিল করবেন যে এখন থেকে আধা ঘন্টা কোন অন্য কাজ করবো না মোবাইল টিপবো না কারো সাথে কথা বলবো না সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে আধা ঘন্টাটাই পড়াশোনা করব।


০২. অন্য কাউকে শিক্ষা দিন

আপনি যে বিষয় নিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চান সে গানটা যদি অন্য কাউকে শেয়ার করেন তাহলে সহজেই অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে আপনার নিজেরও শেখা হয়ে যাবে।

অন্যকে শিক্ষা দান করুন যাতে করে আপনার নিজের ও সে বিষয়টি সম্পর্কে চর্চা হয়ে যাবে এবং সহজে বিষয়টি মনে রাখতে পারবেন। একজন অন্যকে সেখানে কখনো জ্ঞান কমে না।



০৩. ইন্দ্রিয় সক্রিয় রাখুন

চক্ষু, কান, নাক, জিহ্বা, ত্বক এবং স্পর্শ এই ছয়টি ইন্দ্রিয় একজন মানুষের মধ্যে থাকে। পড়াশোনা করার সময় আপনার এই সব ইন্দ্রীয় স্বয়ংক্রিয় এখন এতে করে আপনি যতটুকু পড়বেন ততটুকু মনে রাখতে পারবেন।


আমার বিষয়টি আপনার চারিপাশে পরিবেশের সাথে মিলাতে চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার পড়াশোনা বাস্তবিক বেশি মনে থাকবে।


কোন কিছু পড়লে সেটা একা একা অবসর সময় মনে করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার রিভিশন হয়ে যাবে।

পড়াশোনা কখন করবেন?

০৪. সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন

আপনার পড়াশোনার বিষয়ে সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন। একটি বিষয় পড়াশোনা করলে সে বিষয়টি বাস্তবে কোন বিষয়ের সাথে মিলে সেটি মনে রাখুন।


আপনার চার এসেছে জিনিসগুলো আছে সেই গুলোর সাথে বইয়ের পড়ার সাথে মিল খোঁজে বের করুন এতে করে আপনার জ্ঞানের প্রয়োজন বাড়বে সহজেই পড়া মনে থাকবে



০৫. অনলাইন মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে দিন

বর্ধমানের সব মনোযোগ মোবাইলে;  মোবাইল ছাড়া যেন এক মুহুর্ত চলে না। আর কিছু করি নাই করি মোবাইলে Facebook লগইন ঠিকই করি। সব মনোযোগ যেন মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।


তাই অযথা মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করুন প্রয়োজনে মোবাইলে বিভিন্ন বিষয়ের পিডিএফ ডকুমেন্ট করতে পারেন অন্যথায় অযথা মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।



০৬. মস্তিষ্কের উপর চাপ না দেওয়া

কোন অবস্থাতে মস্তিষ্কের উপর চাপ ফেলবেন না; দরকার হলে অল্প অল্প করে পড়বেন এতে করে মনে রাখার ক্ষমতা আপনার মধ্যে বৃদ্ধি পাবে। 


সব সময় না পড়ে মাঝে মাঝে যখন মাথা ঠান্ডা থাকবে একা একা নিরিবিলিয়া পরিবেশে পড়তে বসবেন। পরীক্ষার আগের রাতে কখনোই পড়াশোনা করা ঠিক না এতে করে পূর্বে যা পড়েছেন তা সব ভুলে যেতে পারেন। 


আরও পড়ুন: মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াবেন কিভাবে | How to increase the ability to remember? 


পরীক্ষার হলে আমরা দুই বছর এক বছর যত কিছু করেছি সেগুলোর পরীক্ষা দেই তখন ব্রেন সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে একটিভ হয় এবং কাজ করে এতে করে ব্রেইনের উপর চাপ পড়ে। হিজাব পরার হাত থেকে ব্রেইনকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই পরীক্ষার আগের রাতে রেস্ট নিতে দিতে হবে তাকে।


০৭. তথ্যের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন

পড়াশোনা করার সময় অবশ্যই তথ্যের ধরন ও চেষ্টা করবেন। ধরুন আপনি একটি ঐতিহাসিক জিনিস নিয়ে পড়তেছেন ওই সম্পর্কে বেসিক্য ধারনা সেটি আগে নিবেন তারপরে সম্প্রসারিত হবে সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবেন।


মনে রাখবেন, আপনি যদি কি পড়ছেন না বুঝে পারেন;  তাহলে, পরবর্তীতে কিছুতেই আর কিছুই মনে রাখতে পারবেননা।  তাই বুঝে বুঝে পড়তে হবে।


০৮. সুদৃঢ় জ্ঞানের ভিত গড়ে তোলা

ছোটবেলায় কোন ক্লাসে যেন পরেছিলাম গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়ােজন । অর্থাৎ গ্রন্থের বিদ্যা অর্জিত না হলে ধন-সম্পদ নিজের কাছে না থাকলে প্রয়ােজন অনুযায়ী কাজে লাগানা যায়না।


তাই সব সময় প্রস্তুতি বিদ্যা সাথে বাস্তবে বৃদ দ্বারা সংক্ষিপ্ত করলে হবে না বিভিন্নভাবে জ্ঞান অর্জন করে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে  হবে।

পড়াশোনা শুধু বইয়ের ভিতরে নয় বউয়ের বাইরে ও জ্ঞানের খনি থাকে বিনোদনের মাধ্যমে অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায় জ্ঞানের পরিধী বাড়িয়ে নেওয়া যায়।


০৯. নিজস্ব রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন

একটা কথা আছে না নিজের জিনিস নিজের কাছে নিজের পড়াশোনা নিজের কাছে।  নিজের পড়াশোনাতে অন্য কেউ এসে করে দেয়া যাবে না তাই পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটা নীতির করুন।

কখন আপনার পড়তে ভালো লাগে কখন পড়াশোনা মন বসে সেটা খেয়াল করে সেই সময় গুলো কাজে লাগান। চেষ্টা করুন, মনের ভেতর ছবি এঁকে নিন কিভাবে সহজে পড়াশোনা আপনার মনে থাকছে।



১০. নোট রাখা 

আপনি যে বিষয়টি পড়ছেন সে বিষয়টির প্রতি মনোযোগী হন এবং প্রয়োজনে খাতায় লিখে রাখুন যাতে করে সে কিছু ভুলে গেলে সেটি দেখলে আবার মনে করতে পারেন।


স্থানে গেছেন যেখানে বই আপনার কিন্তু ছোট্ট করে একটি নোটবুক ব্যবহার করতে পারেন সেখানে টুক টাকা পড়াশোনার বিষয়গুলো রাখতে ভুলবেন না।



আমার শেষ কথা

একটা জিনিস পড়ে কোন পক্ষেই বেশিদিন মনে রাখা সম্ভব না তাই উপরের সব টিপস গুলো অনুসরণ করতে পারেন এবং শেষে যে বিষয়টি বলবো মোবাইল ব্যবহার কম করুন। 


মোবাইল ব্যবহারে আজকাল ছাত্রদের সব ভুলিয়ে রাখছে তাই চেষ্টা করবেন মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে দিতে এবং নিজের ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগী হতে।


আশা করছি পড়াশোনা থেকে হওয়ার ও মনে রাখার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাতে পেরেছি যদি ভালো লাগে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ




Previous Post Next Post

Contact Form