স্তনে বিভিন্ন ধরনের একজিমা সম্পর্কে বিস্তারিত | How to Cure Eczema Permanently Bangla

স্তনে বিভিন্ন ধরনের একজিমা সম্পর্কে বিস্তারিত | How to Cure Eczema Permanently Bangla

একজিমা হলে কি করবেন?

স্তন একজিমা নাকি স্তন ক্যান্সার ?

স্থানে বিভিন্ন ধরনের একজিমা হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যাপার হয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক দেড় লাখ লোক ক্যান্সার আক্রান্ত হয় যার মধ্যে ১৫% স্তন ক্যান্সার। মেয়েদের ক্যান্সারের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের স্থান দ্বিতীয়।


কোন কোন ক্যান্সার দেখতে একজিমার মতো। চিকিৎসায় বিলম্ব যেন না হয় সে জন্যে একটু ধারণা এবং সচেতন থাকা দরকার। তবে আসল কথা, ছড়িয়ে পড়ার আগেই ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারলে শতকরা একশ' ভাগ ক্ষেত্রে এর নিরাময় সম্ভব।


স্তনে বিভিন্ন ধরনের একজিমা সম্পর্কে বিস্তারিত 

এ্যাটপিক একজিমা কি?

এ্যাটপিক বলতে সাধারণত যা বুঝায় তা হচ্ছে বংশগতভাবে পাওয়া এলার্জি। এ জাতীয় রোগীর নিজের অথবা বাবা-মার এ্যাজমা বা সব সময় সর্দি কাশি লেগে থাকা বা একজিমা জাতীয় সমস্যা থাকে। বিভিন্ন বয়সে বিভিন্নভাবে একজিমা দেখা দিতে পারে।

যেমন বাচ্চা বয়সে গালে, হাঁটু এবং কনুই-এর ভাঁজে। বড়দের ক্ষেত্রে ঘাড়ে, চোখের আশপাশে, কপালে হাতে। শুধু স্তনের বোঁটায় একজিমা আকারেও দেখা দিতে পারে। এ সময় শরীরের অন্যান্য জায়গায় একজিমা নাও থাকতে পারে।


নিউরোডার্মাটাইটিস কি?

অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে শরীরের যেকোন জায়গাতে চুলকানির উৎক হয় এবং চুলকাতে চুলকাতে সে সমস্ত জায়গায় একজিমা হয়ে থাকে। যে সমস্ত জায়গায় এ জাতীয় একজিমা বেশি হয় সেগুলো হচ্ছে ঘাড়, পায়ের ভাঁজ, যৌনাঙ্গের চামড়া ইত্যাদি।


মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনের বোঁটায় বা এর চার পাশের কালো জায়গাতেও মানসিক চাপের কারণে চুলকাতে চুলকাতে একজিমা হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় হঠাৎ দৈনিক ১/২ বার চুলকানো আরম্ভ হয়। তখন না চুলকিয়ে থাকা যায় না। চুলকাতে চুলকাতে যখন ব্যথা আরম্ভ হয় তখন চুলকানি কমে যায়।


কনট্যাক্ট একজিমা

পাশ থেকেই বোঝা যায় যে, কোন কিছুর সংস্পর্শ থেকে এ জাতীয় একজিমার সৃষ্টি হয়, যেমন- রঙিন কাপড়, খসখসে বা উলেন কাপড় বা সিনথেটিক কাপড় । এমতাবস্থায় নিপুল বা সমস্ত স্তনেই একজিমা হতে পারে। ব্রেসিয়ারের রাবার থেকেও অনেক সময় একজিমা হতে পারে।


নিপল বা স্তন একজিমা দেখতে কেমন?

স্তন একজিমায় সাধারণত ভিজে ভিজে ভাব হয়ে থাকে। কষ ঝরতে থাকে। আস্তরণ পড়ে এবং কখনো কখনো চির বা ফাটা ফাটা ভাব হয়ে থাকে ।


একজিমার ক্ষেত্রে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ (রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে) যে, দু'পাশের স্তন সাধারণত একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে থাকে। শুধু একটি স্তন আক্রান্ত এমন ঘটনাও হয়ে থাকে তবে খুবই কম হয়ে থাকে।

স্তন ক্যান্সার কি?

স্তন ক্যান্সার কত প্রকার?

স্তনে ক্যান্সার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তন্মধ্যে পেজেটস ডিজিজ নামক ক্যান্সারটি। গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য যে, এটি প্রায় প্রথম থেকেই চামড়াতে (নিপল বা নিপলের আশ পাশের কালো চামড়াতে) দেখা যায় এবং সাধারণ চোখে দেখতে একজিমার মতো!


অনেকেই একজিমা মনে করে গুরুত্ব দেয় না এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সঠিক নেয়াতে ক্যান্সার সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং তখন আর চিকিৎসা নেয়ার অবস্থা থাকে না ।


একজিমা ছোঁয়াচে নয়, একজিমা থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন

এ জাতীয় ক্যান্সারটিও একজিমার মত চুলকাতে থাকে। একজিমার মত আস্তরণ পড়ে। কয়েক মাস বা বছর যাওয়ার পর এটিতে পরিবর্তন আসবে বা দেখে মনে হবে যে এটি একজিমা নয়, এটি ক্যান্সার। যেমন-একটু ঢাকা চাকা বা শক্ত শক্ত ভাব, ক্ষত বা সৃষ্টি হওয়া, নিপল একটু ভিতরে বসে বা ঢুকে যাওয়া এবং নিপলে চাপ দিলে রক্ত বা রক্তের মত পানি বের হওয়া।


একজিমার স্থায়ী চিকিৎসা

একটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে, এ জাতীয় ক্যান্সার শুধু একটি নিপলকে আক্রান্ত করে থাকে। দু'পাশের স্তনকে এক সাথে আক্রান্ত করে না।


কিন্তু একজিমা দু'পাশের স্তনকে এক সাথে আক্রমন করে। তবে একজিমা শুধু এক পাশের স্তনেও হয়। সুতরাং প্রথমেই এক পাশের কোন একজিমাকে ক্যান্সার মনে করে ঘাবড়িয়ে না গিয়ে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নেয়া মঙ্গলজনক।



আমদের শেষ কথা

যদি একজিমা হয়ে থাকে তবে সাধারণ চিকিৎসাতেই ভাল হয়ে যাবে। যদি ৩ মাসেও একজিমার কোন পরিবর্তন বা ভাল না হয় (চিকিৎসা নেয়ার পর) তখনই কেবল একজিমা নাও হতে পারে।

Previous Post Next Post

Contact Form