এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় | chulkani dur korar upay

এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় | chulkani dur korar upay 

ত্বকের বিভিন্ন র‍্যাশ-চুলকানি দূর করার উপায়

চুলকানি সমস্যাটি আমাদের অনেকের হয়ে তাহলে, চুলকানি নিয়ে এত বিরক্ত লাগে সেটা আর বলার মত না।

সব এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সব ধরনের চুলকানিতে কার্যকর নয়। কিন্তু অনেকেই যে কোন চুলকানিতে এন্টিহিস্টামিন ওষুধ নিজে নিজে খেয়ে ফেলেন। এটি মোটেও ঠিক কাজ নয় । চুলকানোর কারণ না জেনে অযথা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ। খেয়ে কোন লাভ নেই। এতে ওষুধগুলোর অপচয় হচ্ছে।


তাই এলার্জি ও চুলকানি কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে আজকে আপনাদের বলবো। চলুন শুরু করা যাক;--


চুলকানি কি? কোনো হয়? কিভাবে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?



চুলকানি হতে পারে একটি বড় সমস্যা; যার ফলে ঘাম, শুষ্কতা, ঝরানি এবং কোমর ভাঙ্গা। চুলকানির কারণ হতে পারে বটের রোগ, প্রদাহ, ভাইরাস, স্ট্রেস এবং শরীরের অশান্তি।


চুলকানি এর বিভিন্ন কারণ রোগীর জন্য বিভিন্ন উপচারের প্রয়োজন হতে পারে।


চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন

১. থাকলে চুলকানি না সংক্রমন করার জন্য গোসল ও পানি ব্যবহারে সতর্ক হওন। 
২. সকালে জেলে সাবান দিয়ে চুলকানিটি ধুয়ে ফেলুন। 
৩. চুলকানি নিয়ে সাবান ব্যবহার করার জন্য সাবান নির্বাচন করার আগে সাবানের সামগ্রী সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করুন। 
৪. চুলকানি নিয়ে সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সাথে সাম্প্রতিক যোগাযোগ করুন। 
৫. ব্যবহার করবেন এমন  নির্বাচন করুন যা সবচেয়ে উপযুক্ত। 
৬.  এবং চুলকানি নিয়ে সহজ পরামর্শগুলি নিম্নরূপ:
৭. রোজ শুধুমাত্র শামপু দিয়ে চুলকানিটি ধুয়ে ফেলুন।
৮. হয়ে থাকা ছাদ সহ সুষম সারিতে চুলকানিটি শুকানো রেখে দিন।
৯. ঝামলাঝামল করার পর চুলকানিটি ফলোব্যাগে ভালভাবে রাখুন।
১০. চুলকানি নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্য নিজে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
১১. তাপমাত্রা বাড়া না দেয়ার জন্য সম্ভব সিডিকের ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
১২. নিয়মিত সময়ে খাবার খেতে পারবেন। আপনি চুলকানি নিয় 



গোসল করার পর অসহারকম গা চুলকায় অনেকের। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী ?

এই ধরনের সমস্যা ধীরে ধীরে কিছুদিন পর ঠিক হয়ে যায়। এ নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই। তবে সাময়িকভাবে এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ যেমন ট্যাবলেট। সিটিন ১০ মি.গ্রা ১টি করে রাতে ১-২ মাস খাওয়াতে উপকার পাওয়া যেতে পারে।


সব চুলকানিতে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে হয় না। শরীর চুলকানো একটি প্রতিদিনের সমস্যা। শরীর একটু চুলকালেই অধিকাংশ লোক এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ যেমন –হিস্টাসিন, এন্টিহিস্টা, হিস্টাল, এভিল ইত্যাদি খেয়ে থাকেন।


সব চুলকানিতে অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কি কাজ করে?

শরীর চুলকানোর অনেক কারণ রয়েছে। আবার অন্যদিকে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ হিস্টামিনের বিপরীতে কাজ করে। শরীর বিশেষ কিছু বিরূপ পরিবেশের মুখোমুখি হলে রক্তে হিস্টামিন নামক এক ধরনের পদার্থ বেরিয়ে আসে। হিস্টামিন নামক এই পদার্থটি শরীরে চুলকানির উদ্রেক করে থাকে। সাধারণ অ্যালার্জিজনিত কারণে শরীরে হিস্টামিনের আগমন ঘটে এবং শরীর চুলকায়।


কাজেই যে সব চুলকানি হিস্টামিনের কারণে হয় শুধুমাত্র সেসব ক্ষেত্রেই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কার্যকরী হবে। অন্য কারণে শরীর চুলকালে সেক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ বিশেষ কোন কাজে আসবে না। শরীর চুলকায় অথচ এন্টিহিস্টামিনের কোন ভূমিকা নেই তেমন কিছু পরিস্থিতির উদাহরণ তুলে ধরা হলো—


ভায়াবেটিসের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে, মানসিক কারণে কিংবা চকলেট কফি খেলে এডিনার্জিক আর্টিকেরিয়া দেখা দেয়, অতিরিক্ত পরিশ্রম ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায়, বৌদের প্রভাবে চুলকালে বা সোলার অর্টিকেরিয়া হলে, রক্তশূণ্যতা, অবস্ট্রাকটিভ জণ্ডিস, কিডনির দুর্বল কার্যকারিতার ফলে রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে, কিছু কিছু চর্মরোগে প্যারাক্সিসমাল পুরিটাস বা হঠাৎ চুলকানি হলে, গর্ভাবস্থায়, শীতকালে অতিরিক্ত গোসল ও সাবান ব্যবহার, মাথা চুলকালে, কৃমি, ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার।


উল্লেখিত চুলকানিতে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেলে কোন লাভ হয় না। কাজেই পায়ুপথ এবং পথের আশপাশে চুলকালে । চুলকালেই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে হবে এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। এন্টিহিস্টামিন সব চুলকানির বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ নয়।


স্ক্যাবিস বা ছোঁয়াচে খোসপাঁচড়া : অনেকের শরীরে এক ধরনের ছোট ছোট বিচির মতো ওঠে যে গুলো খুব চুলকায়। বিচিগুলো পানির মতো পদার্থ দিয়ে পূর্ণ থাকে। এক পর্যায়ে ঘায়ের মত হয়। এগুলো হাতে, আঙুলের ফাঁকে, নিতম্বে বেশি হয়। এ থেকে মুক্তির উপায় কী? 

গোসলের পর শরীর মুছে মুখমণ্ডল ও গোপনাঙ্গ ছাড়া সারা শরীরে মাখতে হবে। ক্রিমটি লাগানোর পর ৮ থেকে ২৪ ঘন্টা রেখে গোসল করে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত ও সংস্পর্শে আসা সব কাপড় চোপড়ও সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।


বাড়িতে অন্য কারো এ রোগ থাকলে তাদেরকেও একই চিকিৎসা দিতে হবে। প্রয়োজনে ৭ দিন পর একই চিকিৎসা পুনরায় নিতে হবে। অনেক সময় খোস পাঁচড়া পেঁকে গিয়ে থাকলে এক কোর্স এন্টিবায়োটিক মুখে খেতে দেয়া হয়। রোগটি খুব ছোঁয়াচে। স্ক্যাবিস চিকিৎসা না করালে জটিল হয়ে। কিডনির ক্ষতি করতে পারে। কাজেই খোসপাঁচড়াকে হালকা করে দেখার উপায় নেই ।


কেউ কেউ মনে করেন কুষ্ঠরোগ ভালো হয় না। ধারণাটি কতটুকু সত্য ? 

ধারণাটি মোটেই সত্য নয়। কুষ্ঠরোগ চিকিৎসা করালে অবশ্যই ভালো হয়। এর চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদী। কোনো সময় ১ থেকে ২ বছর, কখনো ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত চিকিৎসা চালাতে হয়। তাই ধৈর্যহীন হয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিরতি দিলে অসুবিধা হয়।


ওষুধগুলোর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে 'ড্যাপসন' নামক যে ওষুধটি কুষ্ঠরোগে খেতে হয় তা যদি ভুলক্রমে ৪৮ ঘণ্টা খাওয়া না হয় তবে ওষুধটি আর কাজে নাও লাগতে পারে। কিন্তু এটিই আবার কুষ্ঠরোগের মূল ওষুধ। এছাড়া চিকিৎসাকালীন যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তার জন্যেও আলাদা চিকিৎসা দরকার। কাজেই চিকিৎসার জন্যে চর্ম বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।


প্রতিদিন গায়ে সাবান মেখে গোসল করলে ত্বকের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কি ?

সেবাম নামক এক প্রকার তেল জাতীয় পদার্থে প্রতিনিয়ত আমাদের ত্বকে নিঃসৃত হতে থাকে। এই সেবাম আমাদের ত্বককে মসৃন রাখে এবং জীবাণু রোধেও সহায়তা করে। অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারে ত্বকে সেবামের পরিমাণ কমে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, বিশেষ করে শীত কালে ।


ত্বকে মাইক্রো ইনজুরির সৃষ্টি হয়, অতি সহজেই জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। কখনো কখনো শুষ্কতার জন্যে ত্বক চুলকাতে থাকে এবং চুলকাতে চুলকাতে একজিমা হয়ে যায়। তাই বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার ঠিক নয়। প্রতিনিয়ত সাবান ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে কুঁচকি, বগল ও মাথার ম পরিষ্কারের জন্যে। তাও সেটা সবার বেলায় প্রযোজ্য নয়।


যারা কাজ কর্মে খুব ব্যস্ত থাকেন, শরীরে প্রচুর ময়লা জমে থাকে কেবল তাদের বেলায় প্রযোজ্য। ত্বকে ডলা বা ঘসা দিলে যে ময়লাভাব দেখা দেয় সেটি সবক্ষেত্রে ময়লা নয়। আমাদের প্রতিনিয়ত বদলাতে থাকে। এগুলো সেই মরা চামড়া যা ওঠানোর ও প্রয়োজন নেই। যদি ওঠাতে হয়ই তবে শরীরে পানি ঢেলে হাত বা কাপড় নিয়ে ডলা দিলেই উঠে আসবে। যদি সত্যি সত্যিই শরীরে ময়লা জমে তাহলে সাবান ব্যবহারতো করতেই হবে, তবে প্রতিদিন দরকার নেই।


কলপ ছাড়া পাকা চুল কালো করার উপায়

কালো চুলের প্রতি অধিকাংশেরই দুর্বলতা রয়েছে। তাই চুলের রং একটু বাদামী হলে বা চুল পেকে গেলে অনেকেই চুল কালো করার জন্য তেল ব্যবহারের কথা ভাবেন। কিন্তু চুল পাকা রোধ করতে তেলের কোন ভূমিকা নেই।


সাধারণভাবে ত্রিশোর্ধ বয়স থেকেই ২/১টি করে চুল পাকতে থাকে। তবে যে কোন বয়সে ২/১ টি পাকা চুল থাকতে পারে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চুলের লালভাব দূর করার ব্যাপারে তেলের ভুমিকা বলার আগে একটি বিষয় জানা দরকার। আর তা হচ্ছে তেল ব্যবহারেই কখনও কখনও চুল লাল হয়ে যায়। তেলের এসিড চুলের চক্‌চকে স্তরকে ক্ষয় করে ফেলে।


তবে যতদিন তেল মাখা চলতে থাকে ততদিন এই ক্ষয়ভাব বোঝা যায় না। তেল মাখা বন্ধ করলেই সেই ক্ষয়ভাব দৃশ্যমান হয় এবং চুল লালচে দেখায় ও জট বাঁধতে শুরু করে। তখন চুল স্বাভাবিক করতে গিয়ে আবার তেল মাখতে হয়। এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে মনে হয় তেল ছাড়া যেন একদিনও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব নয় ।


এভাবেই তেলের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি হয় । তবে তেল মাথা বন্ধ করে কয়েক মাস যদি ধৈর্য ধরা যায় তবে দেখা যাবে তেল ছাড়াই চুল আবার সুন্দর কালো হয়ে যাচ্ছে। সাময়িক রুক্ষতা দূর করার জন্য মাঝে মধ্যে বিভিন্ন হেয়ার জীম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে একটি কথা কোন তেলে এসিডের মাত্রা যদি কম থাকে সে ক্ষেত্রে এই ক্ষতি অনেকটাই কম হবে।


কারো কারো যে কোনো গায়েমাখা সাবান মাখলেই শরীর চুলকায়, এর সমাধান কি?

এক্ষেত্রে সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে গায়ে সাবান না মাখা। যদি সাবান মাখাটা একান্তই প্রয়োজনীয় হয় তাহলে যে সাবানে ক্ষার বা এ্যালকালির পরিমাণ খুবই কম বা নেই বললেই চলে (Neutral soap) এমন সাবান যেমন- Dove Soap ব্যবহারে চুলকানির উদ্রেক হওয়ার সম্ভাবনা কম হতে পারে। তবে অভ্যাস করতে হবে যথা সম্ভব সাবান না মেখে।

সাবান না মাখলে শরীরের ত্বকের কোনো ক্ষতি হয়না।


অনেকের মুখ তৈলাক্ত ধরনের। বিভিন্ন কসমেটিকস ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মুখমণ্ডল চুলকাতে থাকে। চুলকানো জায়গা লালাভ হয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী ?

মুখে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্রিম বা প্রসাধনী থেকে এ ধরনের এলার্জির উদ্রেক হতে পারে। এক্ষেত্রে ঐ সব কসমেটিকস বর্জন করে কোলাজেন ইলাস্টিন ক্রিম অথবা সেলেক্স সি ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

যথাসম্ভব ধুলাবালি ও সূর্যালোক এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করার জন্যে নিউট্রোজেনা বা ডোভ সাবান দিয়ে মুখ ধোয়া যেতে পারে ।


অনেকের গরুর মাংস খেলে কিংবা ইলিশমাছ খেলে গায়ে চুলকানি বা এলার্জি হয়। একই খাবারের প্রতি কি সবার এলার্জি থাকতে পারে ?

একেক জনের একেক খাবারের প্রতি এলার্জি থাকতে পারে। কারো বেগুনে, কারো দুধে আবার কারো মাংসে বা মাছে এলার্জি থাকে।

একই খাবারে সবার এলার্জি থাকে না। এলার্জি উদ্রেককারী খাবার গ্রহণের আগে বা পরে এন্টিহিস্টামিন ওষুধ খেয়ে নেয়া যেতে পারে। তবে সমস্যা বেশি হলে ঐ সব খাবার না খাওয়াই ভালো।


অনেক মহিলা আছেন যাদের হাতে কিংবা কানে ইমিটেশনের গহনা পরলে সেই স্থানের ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে, চুলকায়। এর সমাধান কী ?

এ সমস্যার নাম 'কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস'। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রথম কাজ হচ্ছে ইমিটেশনের গহনা ব্যবহার না করা। আর ব্যবহারের পর সমস্যা দেখা দিলে আক্রান্ত স্থানে জেনথোমাইসিন-এইচসি ক্রিম সপ্তাহ খানেকের জন্যে লাগানো যেতে পারে।


পায়ে স্যান্ডেল পরলেই অনেকের পা লালাভ চাকার মতো ফুলে ওঠে। চুলকায়। পায়ে স্যান্ডেল না পরে কীভাবে চলা যায় ?

সমস্যাটির নাম 'কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস'। থাকে। কৃত্রিম উপায়ে তৈরি কিছু দ্রব্য যেমন- নিকেল, রেক্সিন ইত্যাদি ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকে এলার্জি দেখা দেয়।

ফলে ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। কৃত্রিম উপাদান দিয়ে তৈরি স্যান্ডে পড়া ছেড়ে দিয়ে চামড়ার স্যান্ডেল পরলেই এ সমস্যা হয়তো থাকবে না।


শয়তানের খামচি কি?

কারো কারো হাতের কনুই এবং পিঠের দিকে লম্বা আঁচড় কাটার মতো দাগ হঠাৎ করেই দেখা দেয় । অনেকে একে 'শয়তানের খামচি' বলে। আসলে এটা কী।

চিকিৎসা শাস্ত্রে ‘শয়তানের খামচি” বলে কোন কিছু নেই। হয়তো ঘুমের ঘোরে কোন কিছুর আঁচড়ে এমনটি হয়। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।


অনেক মহিলার স্তন চুলকায় ও স্তনে ছোট দানার মতো হয়। চুলকালে কষ বের হয়। তবে ব্রা না পরলে চুলকানি কমে যায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় কী ?

এ সমস্যাটির নাম এলার্জিক কন্ট্যাক্ট ডারমাটাইটিস। এক্ষেত্রে কিছুদিন ব্রা পরা বন্ধ রাখতে হবে। সমস্যাটা চলে গেলে সুতি কাপড়ের ব্রা ব্যবহার করা যেতে পারে ।

ঐ সব জায়গা ঘামলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে। এলার্জির জন্যে মেট্রোলিন ট্যাবলেট ১টা করে রোজ তিনবার প্রয়োজন মতো খেতে হবে।


অনেক মেয়েরাই প্রশ্ন করেন, তাদের স্তনের বোঁটা আগের হালকা বাদামী বর্ণ থেকে কেন গাঢ় বর্ণ ধারণ করছে ? এটি কি কোন রোগ ?

অল্প বয়সে স্তনের বোঁটা হালকা বাদামী রংয়েরই থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে। তা গাঢ় হতে থাকে। তবে খুব বেশি গাঢ় হলে বা অস্বাভাবিক রংয়ের হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।



আমাদের শেষ কথা

চুলকানি সমস্যাটি সাধারণত অপরিষ্কার শরীরকে বেশি করে বাসা বাঁধে। চুলকানোর সময় বেশি বেশি হিস্টামিন নিঃসরিত হয়। ফলে আরো চুলকাতে ইচ্ছা করে। এই চুলকানি হতে সম্পর্কে সাবধান থাকুন।


Previous Post Next Post

Contact Form