Driving License Nobayon | ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম | BRTA Driving Licence Renewal Form

Dl renew bd

Driving License Nobayon | ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম | BRTA Driving Licence Renewal form

আমরা দৈনন্দিন জীবনে যারা বাইক রাইড করি তাদের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনেক গুরুত্বপুর্ন বিষয়। মোটরবাইক চালানোর ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ; লাইসেন্স ছাড়া বাইক চালালেই ৫০০০ টাকার মামলা জরিমানা হতে পারে।

আমাদের যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে  তাদের সকলের লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছরের জন্য লাইসেন্স করা আছে। এই নির্দেশে সময় পর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে রিনিউ করবেন সেটা জানতে আজকের আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন।  আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে নবায়ন (Renew) করবেন।

বাংলাদেশের সড়ক আইন ২০১৮ অনুযায়ী মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ ১০ বছর হয়ে থাকে। এই ১০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর আমাদের লাইসেন্সটি আবার নবায়ন বা হালনাগাদ করতে হয় যেটাকে Driving License Renew বলে। আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে রিনিউ করবেন ও কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং কত টাকা খরচ হবে। বাইকের ট্যাক্স টোকেন নবায়ন পদ্ধতি ২০২২ ।

আরও পড়ুন: মোবাইলে ঘরে বসে বিকাশে বিআরটিএ ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে আমার এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।


অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম | BRTA driving licence renewal online

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা হলো

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন

২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট

৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি

৪। শিক্ষাগত যোগ্যাতার সনদ

৫। নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ

৬। পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন(পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে)

৭। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।


(পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন- BRTA Driving license application form pdf ডাউনলোড করুন)


ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম ২০২২ |driving license nobayon in bangladesh| যেভাবে যে কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করবেন স্টেপ বাই স্টেপ নিচে দেওয়া হল:

ধাপ ১ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো যেমন- ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) এর ফটোকপি, নাগরিক সনদ পত্র (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যলয় থেকে সংগ্রহ করে) ফটোকপি ও সত্যায়িত,পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৪ কপি, আসল ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড সহ ব্যাংক জমা দেওয়ার জন্য 


আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি নিয়ে বিআরটিএ অফিসের নবায়ন অফিসার এর কাছ থেকে সত্যায়িত করিয়ে নিতে হবে যা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার সময় ব্যাংক ডিপোজিট ফরম এর সাথে জমা দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য  ২৪২৭ টাকা ব্যাংকের জমা দিতে হবে। এই টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংক রিসিপট পেপার সংগ্রহ করে যত্ন সহকারে রাখবেন।


ধাপ ২- এরপর আপনাকে ২টি ফরম পূরণ করতে হবে ১.নবায়ন ফরম (ডাউনলোড লিংক উপরে দেওয়া আছে) ২.মেডিকেল ফরম (ডাউনলোড করুন এখানে )


১.নবায়ন ফরমঃ নবায়ন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় বিষয়- যদি আপনি বিবাহিত হন আপনার স্ত্রীর নাম ও মোবাইল নাম্বার / স্বামীর নাম ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। আর যদি অবিবাহিত হন সেক্ষেত্রে আপনার পিতার নাম/মাতার নাম দিতে হবে। এই ফরম আপনি চাইলে অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন। অনলাইনে নবায়ন ফরম পূরণ করার জন্য পিডিএফ দরকার হয়। driving license nobayon editable pdf download করুন এখানে


২.মেডিকেল ফরমঃ মেডিকেল ফরমের সকল বিষয় পূরণ করে  ফরমটি একজন এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা মেডিকেল টেস্ট করিয়ে তা সত্যায়িত করিয়ে নিয়ে জমা দিতে হবে। এই ফরমটি আপনি বিআরটিএ এর আশেপাশে ফটোকপির দোকানগুলোতেও পেয়ে যাবেন; বিআরটিএ মেডিকেল ফরম (ডাউনলোড করুন এখানে )। 


এই দুইটি ফরমে ১ কপি করে ছবি সত্যায়িত করে নিতে হবে। এরপরে নবায়ন ফরম ও মেডিকেল ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি, ব্যাংক স্লিপ ফটোকপি, নাগরিক সনদ পত্রের ফটোকপি, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর আসল কপি সব কিছু একত্রে করে বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে ।


মনে রাখবেন: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য উপরের সকল ডকুমেন্টস এর সাথে পুলিশ তদন্তের প্রতিবেদন সত্যায়িত করতে হবে। এক্ষেত্রে ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি এবং পুনরায় ব্যবহারিক পরিক্ষা দিতে হবে।আপনার যদি সকল ডকুমেন্টস একদম ঠিক থাকে তাহলে সেদিন অথবা পরের দিন আপনি একটা ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন যা দিয়ে আপনি আপনার বায়োমেট্রিক এসএমএস না আসা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন।


ধাপ ৩- বায়োমেট্রিক এসএমএস আসলে বা আপনাকে কোন নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া থাকলে সেই তারিখ অনুযায়ী সেখানে গিয়ে নির্ধারিত সময়ে আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তুলে আসতে হবে। সেদিনই আপনি একটা কম্পিউটার কপি পাবেন; যেটা দিয়ে অস্থায়ীভাবে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন।


ধাপ ৪- ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার পর আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যেমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ডেলিভারির জন্যে রেডি এমন একটা এসএমএস আসবে। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড পেতে ৩-৪ মাস সময় লাগতে পরে। এসএমএস না পেলে brta office এ যোগাযোগ করতে পারেন। নির্ধারিত সময় পর সেই কম্পিউটার কপি নিয়ে যেয়ে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।


ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে পেশাদার ও অপেশাদার কি একই নিয়ম?

হ্যাঁ, মোটামুটি একই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র অপেশাদারদেরকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার পুনরায় দিতে হয়না। এক্ষেত্রে পেশাদারদের প্রতিবারই লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে পরীক্ষা দিতে হয়। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।


যদি সময়মত DL নবায়ন না করি?

ড্রাইভিং  লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৫ দিন পর্যন্ত আপনার সুযোগ থাকবে নবায়নের জন্য, মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায় এবং তা যদি নবায়ন করা না হয় তাহলে জরিমানা বাবদ, প্রতি বছর আপনাকে ২৩০ টাকা করে দিতে হবে। 

আরও জানতে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে জরিমানা কত? এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।


ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে?

শুধুমাত্র আপনি যদি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্ত হন তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার সময় আপনাকে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাত্র হলে পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে না।

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার সময় বিআরটি তে পুরাতন ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিলে পরবর্তীতে কিভাবে গাড়ি চালাবো?

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য সকল কাজ সম্পন্ন করার পরে আপনি একটি কম্পিউটার কবে পাবেন এই ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং দিয়ে আপনি আপনার বায়োমেট্রিক এসএমএস না আসা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন।


ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফী কত টাকা?

ড্রাইভিং লাইসেন্স রেনিও(নবায়ন) করার জন্য গ্রাহককে নির্ধারিত ফি- মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- এবং মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছরের জন্য ২০০/- টাকা করে জরিমানা দিতে হবে ।

আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া

Previous Post Next Post

Contact Form