বাইকারদের জন্য টিপস - আপনার বাইক থাকলে অবশ্যই জেনে রাখা দরকার।
বাইক চালানোর ক্ষেত্রে কিছু জেনারেল নলেজ অবশ্যই থাকতে হয়, বাইক ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং বিআরটিএর অন্যান্য তথ্য ও জানতে আমাদের সাইটের আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন। বাইকারদের জন্য আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। এই টিপস্ আপনার অনেক কাজে আসবে অবশ্যই-
প্রথমত আপনার পোষাকঃ
- অবশ্যই জিন্স পড়বেন ।
- ফরমাল প্যান্ট পড়বেন না ।
- ফুল হাতা গেঞ্জি অথবা শার্ট পড়বেন । এটা যেন একটু ফিটিং হয়।
- অবশ্যই কেডস্ পড়বেন ।
- হাতে গ্লাভস্ পড়বেন ।
- অবশ্যই ফুল ফেইস হেলমেট পড়বেন । চলন্ত অবস্থায় হেলমেটের গ্লাস উঠিয়ে রাখবেন না।
- এলবো ও নি-গার্ড পড়ে নিবেন অবশ্যই।
- সামনের পকেটে মোবাইল রাখবেন না এবং পিছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখবেন না। মোবাইল এবং মানিব্যাগ রাখার জন্য ওয়েষ্ট ব্যাগ ব্যবহার করবেন।
- অবশ্যই রিফ্লেক্টিং জ্যাকেট পড়বেন।
- রেইনকোট অবশ্যই সাথে রাখবেন।
দ্বিতীয়তে আসি আপনার বাইক
- যেদিন আপনি রওনা দিবেন তার ২/১ দিন আগেই একজন ভালো মেকানিক দিয়ে আপনার বাইকটা চেক করিয়ে নিবেন। যদি সামান্যতম ত্রুটিও থাকে, সেটা অবহেলা না করে সমাধান করে নিবেন।
- চাকার হাওয়ার প্রেসারঃ সামনের চাকায় সর্বোচ্চ ২৫-২৮ , এবং পিছনের চাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ রাখবেন। এবং তা নিজের চোখে মেপে দেখে নিবেন ।
- অবশ্যই সাথে রাখবেনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্সের এর মূল কপি। টেক্স টোকেন এর মূল কপি। রেজিষ্টেশন কাগজ এর মূল কপি । রেজিষ্টেশন এর টাকা জমার মূল রসিদ।
- বাইক চালু করার আগে ২ চাকার ব্রেক, ক্লাস, হেড লাইট ও হর্ণ এবং ইন্ডিকেটর লাইট চেক করে নিবেন। এবং চাকায় লিক আছে কিনা চেক করে নিবেন।
- আপনার কাপড়ের থাকলে Bag বাইকের বেক সীটে ভালো করে টাইট করে বেঁধে নিন। সামান্য প্রকারও যেন নড়াচড়া না করে সাবধান থাকুন।
- ঝুকি এঢ়াতে ব্যাগ কোন অবস্থাতেই কাধে বা পিঠে নেওয়া যাবে না।
- বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাতে বাইক জার্নি করবেন না।
- হাইওয়েতে যখন উঠবেন তখন অবশ্যই আপনার বাইকের বেক লাইট এবং হেড লাইট ও ফগ লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন যাতে Accident না হয়।
আরও পড়ুন: লার্নারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কি করবেন?
এবার আসুন সতর্কতাঃ
- বিসমিল্লাহ বলে বাইক স্টার্ট করবেন।
- আপনি যত এক্সর্পাট বাইকারই হোন না কেন, হাইওয়েতে 90+ স্পিডের বেশি চালাতে যাবেন না।
- বাইক চালানোর ৪৫ থেকে ৫০ কিঃমিঃ পরে পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বিরতি নিবেন। এতে আপনার মাথে সাথে বাইকের রেস্ট হবে । এই বিরতিতে আপনি চা/পানি খেয়ে নেওয়া যায়।
- নিরিবিলি জায়গায় বিরতি দেওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এতে আপনি ছিনতাইকারির কবলে পড়তে পারেন।
- বাইক স্টার্ট করা থেকে শুরু করে, প্রতি বিরতির পর বাইক চালু করার আগে একটা সেন্টার ফ্রেস/ ফ্রুট মুখে দিয়ে নিবেন। এই সেন্ট্রাল ফ্রেস/ ফ্রুট আপনি আপনার বাসার কাছের দোকান থেকে নিয়ে নিবেন। এই সেন্ট্রাল ফ্রেস/ফ্রুট আপনাকে চলন্ত বাইকে প্রানবন্ত রাখবে।
- পানির বোতল সাথে রাখবেন। যেটা আপনি আপনার বাসা থেকেই বা বাসার কাছের দোকান থেকে নিয়ে নিবেন।
- চলন্ত বাইকে মোবাইলে কথা বলবেন না।
- পুলিশের পোষাক ছাড়া কেউ সিগনাল দিলে দাড়াবেন না। পুলিশের পোষাকে পুলিশ সিগনাল দিলে অবশ্যই দাড়াবেন। এবং বিনয় ও সন্মানের সহিত কথা বলবেন।
10. তিন চাকার পরিবহন (অটোরিক্সা, রিক্সা, সিএনজি, টেম্পু) থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকবেন। কারন এরাই হবে আপনার দূর্ঘটনার প্রধান কারন।
11. হাইওয়েতে কেউ লিফ্ট চাইলে দাড়াবেন না। হাইওয়েতে কেউ বিপদগ্রস্থ হয়ে আপনার কাছে সাহায্য চাইলে ভুলেও দাড়াবেন না। কারন ছিনতাইকারি বিপদগ্রস্থ মানুষ সেজে আপনাকে দাড় করিয়ে আপনার বাইক সহ মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যাবে। যদি সত্যি সত্যি বিপদগ্রস্থ হয়, তাহলে হাইওয়ে পুলিশকে জানাতে পারেন।
12. চলন্ত বাইকে লুকিং গ্লাস ফলো করতে হবে। যে কোন গাড়ি আপনাকে অবারটেক করার সময় অথবা আপনি অবারটেক করতে গেলে কমপক্ষে ৫ হাত দূরত্ব বজায় রাখবেন।
13. বাইকের তেল একদম ফুল টাংকি ভরে নিবেন না, কিছু কম রাখা ভলো ।
14. ভাংতি টাকা সাথে রাখবেন। ব্রীজ/ফেরি তে টোল দিতে কাজে আসবে।
15. গান শুনতে শুনতে বাইক চালাবেন না। এবং মোবাইলে লাস্ট ডায়ালে এমন একজনের নাম্বার রাখবেন, যেন কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে তাকে কল দিতে পারেন।
16. রাস্তা ঘাটে না পারতে কোন খাবার খাবেন না। যদি খেতেই হয় তাহলে ইনটেক্ট খাবারের প্যাকেট কিনবেন। অথবা বাসা থেকে শুকনা খাবার সাথে নিতে পারেন ।
সমস্যা হলে পুলিশের সাহায্য নিন।
সাবধানে বাইক চালাবেন, সতর্ক থাকবেন!
ডাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত অনেক আর্টিকেল আমাদের সাইটে আছে আপনি চাইলে করতে পারেন।
Tags
BRTA Driving License