অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪

 

Driving license make bd

ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি বৈধ সনদ  যা আপনাকে ভবিষ্যতে নিরাপদে ড্রাইভিং করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। নিজের নিরাপত্তা ও পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে ড্রাইভিং লাইসেন্স বর্তমানে অতীব প্রয়োজন।

আজকে আপনাদের দেখাবো কিভাবে আমি কোনো দালাল ছাড়াই নিজেই নিজের  ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। চলুন শুরু করা যাক;


অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪ | online driving license bd 2024

ড্রাইভিং লাইসেন্স করা খুব সহজ, নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিজেই করুন খুব সহজে ৩,০০০টাকার মধ্যে, অযথাই দালালকে কেনো ৮,০০০-৯,০০০ টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীর  অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। তিনটি ধাপে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পুর্ণ হয় -


স্টেপ– ১. লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন
স্টেপ– ২. লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট
স্টেপ– ৩. বায়োমেট্রিক্স প্রদান


স্টেপ– ১ : লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন |learner driving license online apply 


প্রথমে আপনাকে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে হবে নিচে দেওয়া প্রয়োজনীয় কাগপত্র অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এই ঠিকানায় গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরীর করে অনলাইন শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে হবে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য কি কি লাগে জেনে নিন -

1. আবেদনকারীর ছবি [(৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি )]
2. রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি) (মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্ম Download করুন]
3. NID স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
4. Certificate স্ক্যান কপি (ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ)
5. ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
6. Pay -একটি ক্যাটাগরীর জন্য ( গাড়ি অথবা বাইক), সেক্ষেত্রে ফী হচ্ছে ৩৪৫ টাকা। এবং, যদি গাড়ী এবং মোটরসাইকেল একসাথে আবেদন করা হয় হলে ৫১৮ টাকা দিতে হবে।

মনে রাখবেন: অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পরে।


স্টেপ– ২ : লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট | driving license exam questions 

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পুর্ণ হলে সেখান  আপনার পরীক্ষার কত তারিখ জানতে পারবেন। এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। 


কেউ যদি চায় তবে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আগে/পড়ে পরীক্ষা দিতে পারে। পরীক্ষার অংশগ্রহণ প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক, তার নিজের লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও কলম সাথে আনতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার তিনটি ধাপে নেওয়া হয়। যথা-

ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো

প্রশ্নপত্রের পূর্ণমান ২০ নম্বর, পাশ ১২ নম্বর ও সময় ২০ মিনিট।সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ০৬টি ০৬ নম্বর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ১) নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন ০৮টি ০৮ নম্বর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ১)

ইঞ্জিন মেকানিজম সম্পর্কিত প্রশ্ন ০৬টি ০৬ নম্বর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ১)

উল্লেখ্য যে, ইঞ্জিন মেকানিজম সম্পর্কিত বিষয়ে ন্যূনতম ০২ নম্বর না পেলে পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন।


ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষা:


ড্রাইভিং লাইসেন্স মৌখিক পরীক্ষা: 

মৌলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে আপনাকে ট্রাফিক চিহ্নসমূহে ভালো ধারণা রাখতে হবে। ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) pdf ডাউনলোড করুন


ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা:

আপনার বাইক/গাড়ী সঠিক নিয়মে চালিয়ে দেখাতে হবে। নির্ধারিত কেন্দ্রে আপনার গাড়ি নিয়ে যাবেন অথবা ১০০ -২০০ টাকায় অন্যের গাড়ি দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারেন।

প্রতিটি ধাপে আলাদা আলাদাভাবে পাশ করতে হয়। কিন্তু কোন একটি বা দু’টি বা তিনটি পরীক্ষায় ফেল করলে শুধু মাত্র যে পরীক্ষায় বা পরীক্ষাসমূহে ফেল করেছেন সেই পরীক্ষা/পরীক্ষাসমূহ দিতে হবে।



সাধারনত ৩-৭দিনের মধ্যেই  আপনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিনা  অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এই ঠিকানায় আপনার অ্যাকাউন্টে দেখতে পারবেন/আপনার নির্ধারিত brta অফিসে যোগাযোগ করুন।


স্টেপ–৩: বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদান

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড পেতে নিমোক্ত কাগপত্রগুলো লাগবে -

১. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি


৩। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।

৪। NID এর সত্যায়িত ফটোকপি।

৫। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৬৭৯/- ও অপেশাদার- ২৫৪২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ(Money Receive)।

৬। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

৭। সদ্য তোলা ২কপি পাসপোর্ট সাইজ ও স্ট্যাম্প সাইজ ২কপি ছবি।


উপরোক্ত কাগজপত্র এবার সব কিছু এক করে বিআরটিএ তে জমা দিতে হবে এবং টোকেন সংগ্রহ করতে হবে।  বায়োমেট্রিক দেয়ার পর মুল লাইসেন্স পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত টেম্পোরারি লাইসেন্স পাওয়া যাবে। যখন মুল লাইসেন্স রেডি হয়ে যাবে তখন এসএমএম এর মাধ্যমে জানানো হবে। সাধারনত ৩-৪ মাস সময় লাগে। তারপর টেম্পোরারি লাইসেন্স জমা দিয়ে মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।

You have to wait 07 seconds.


Previous Post Next Post

Contact Form