কিভাবে চেক করবেন আপনার কনটেন্ট গু‌লো কোয়ালিটিফুল কিনা?

content qualitifull make techsohag.com

কিভাবে চেক করবেন আপনার কনটেন্ট গু‌লো কোয়ালিটিফুল কিনা? | Quality content examples

আপনি যত ভালোই কীওয়ার্ড রিসার্চ বা অন পেজ এসইও করেন না কেন আপনার কনটেন্ট যদি ভালো মানের না হয় তবে আপনি অবশ্যই র‍্যাঙ্কিং এ পিছিয়ে পড়বেন।  আমরা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং বা এফিলিয়েশন এর সাথে যুক্ত তারা সবাই জানি কোয়ালিটি কনটেন্ট এর কোনো বিকল্প নাই। কারণ কনটেন্ট হলো রাজা। তাই অফ পেজ এসইও, অন পেজ এসইও, কীওয়ার্ড রিসার্চ, ব্যাকলিংক সব কিছুর সাথে কনটেন্ট কোয়ালিটি টাও ঠিক রাখতে হবেই।

এখন খুব সহজেই যে কেউ কনটেন্ট লিখতে পারে, কিন্তু সেটাকে র‍্যাঙ্কিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আজ‌কে কনটেন্ট পাবলিশ করতে যাওয়ার আগে আপনার তৈরি করা কনটেন্টটির কোয়ালিটি চেক করার জন্য কি কি করতে হবে তা আলোচনা করবো -


১) কনটেন্ট কোয়ালিটি স্কোর চেক করুন | how to improve content quality 


স্পষ্ট করে বলতে গেলে, কন্টেন্ট এর স্কোরের সাথে শব্দ সংখ্যার কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক দীর্ঘ টিউন না লিখে সাধারণ ভাবে অল্প ও সাবলীল শব্দ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে যদি বিষয়বস্তু ফুটিয়ে তোলা যায় তাহলে সেই কনটেন্ট সহজেই সকলের বোধগম্য হয়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল কনটেন্ট এর বিষয়বস্তুর গুণমান ফ্যাক্টর নির্ধারণ করা, এবং এটিকে অথেন্টিক কন্টেন্টে পরিণত করা।  কনটেন্ট কোয়ালিটি স্কোর চেক করার বেশ কিছু অনলাইন টুলস আছে চাইলে সেইগুলা দিয়েই কনটেন্ট কোয়ালিটি চেক করতে পারেন যেমন- Serfur SEO /CLEARSCOPE/Frase.io/Marketmuse ইত্যাদি। যেমন কোথায় থে‌কে আপনি NLP ওয়ার্ড ব্যবহার করতে মিস করেছেন সেইগুলা সহজেই চেক করে স্কোর বাড়িয়ে নিতে পারেন।


২) কনটেন্ট প্লাগারিজম ফ্রি কিনা চেক করুন | paganism free content writing 

আপনার কন্টেন্টে কোনো ডুপ্লিকেট ইস্যু আছে কিনা সেইটা সহজেই বিভিন্ন প্লাগারিজম টুলস দিয়ে চেক করে নিতে পারবেন। যেহেতু কনটেন্ট র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই ইউনিক কনটেন্ট এর বিকল্প নাই। ডুপ্লিকেট কনটেন্ট আপনার ওয়েবসাইট এবং গুগল র‍্যাঙ্কিং ২ টার জন্যই নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে। তাই প্লাগারিজম টুলস দিয়ে চেক করে নি‌বেন। যেমন-  SEO Small Tools, SEOWagon, Copyscape/Quetext Paraphrase App.


৩) কনটেন্ট গ্রামার, পাঙ্কচুয়েশন ও স্পেলিং মিস্টেক ফ্রি কিনা তা চেক করুন | Quality content SEO

পাঙ্কচুয়েশন মিস্টেক ইউজারদের বিরক্ত বোধ এনে দিবে তারা আপনার কনটেন্ট পড়তেও চাইবে না। কারণ একটা বাক্যের মিনিং সঠিক ভাবে বুঝতে পাঙ্কচুয়েশন খুব গুরুত্ব পূর্ণ। তাই কনটেন্ট গ্রামার ও স্পেলিং মিস্টেক ফ্রি রাখুন সাথে পাঙ্কচুয়েশন মিস্টেক ও এড়িয়ে চলুন।

গ্রামার, পাঙ্কচুয়েশন ও স্পেলিং মিস্টেকে থাকলে সেটা খুব ভালো ভাবে চেককে করুন। অথবা এই গুলো চেক করার জন্য ফ্রি অনলাইন টুলস আছে। এছাড়াও গুগল ডক, বা গ্রামারলি ব্যবহার করতে পারেন। গুগল গ্রামার ও স্পেলিং মিস্টেক একদম পছন্দ করে না।


৪) কীওয়ার্ড ফোকাস করে কনটেন্ট লিখা হয়েছে কিনা চেক করুন | content keywords writing 

অপ্রাসঙ্গিক লিখা গুগল একদম পছন্দ করে না। আমরা মূলত গুগলে কোনো কনটেন্ট এর টাইটেল লিখে সার্চ করি না। সাধারণত কীওয়ার্ড দিয়েই সার্চ করে থাকি তাই কনটেন্ট আপনার মূল কীওয়ার্ডকে ফোকাস করে লিখা কিনা ও সাব হেডিং গুলাতে রিলেটেড কীওয়ার্ডস ব্যবহার হয়েছে কিনা সেইটা অবশ্যই দে‌খে নিবেন। 


৫) কন্টেন্ট ফরম্যাটিং |  Examples of text formatting

ফরম্যাট ঠিক থাকলে যে কোনো কনটেন্ট পড়তে সহজ এবং আকর্ষণীয় হয়। কোনো কনটেন্ট লেখার পর তা ভালো ভাবে চেক করুন। 


এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন রুলস ফলো করে কনটেন্ট লিখতে হবে। যেমন -

• বিভিন্ন জন‌প্রিয় সাব হেডিং ব্যবহার

• বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার

• ইমেজ এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল টেক্সট

• ভাষা

• সংক্ষিপ্ত অনুচ্ছেদ

ডাটা বা ইনফো গুলা আবার চেক করে নিন। আপনি আপনার কম্পিটিটর ওয়েবসাইট গুলো থেকেই ফ্যাক্ট চেক করে দেখতে পারেন সহজেই। তাই আপনার তথ্য ভালো ভাবে পরীক্ষা করুন।


সর্বোপরি, আপনার বিষয়বস্তুর তালিকা প্রাসঙ্গিক হতে হবে যাতে ব্যবহারকারীরা দ্রুত মূল পয়েন্টগুলির থেকে ধারণা পেতে পারে৷ অবশ্যই নিশ্চিত করুন যে আপনি যে ছবি ব্যবহার করেন তা প্রাসঙ্গিক এবং সঠিকভাবে অ্যাট্রিবিউট করা হয়েছে।


৬) কন্টেন্টে নির্ভরযোগ্য সোর্স দেয়া আছে কিনা চেক করুন | content resources 

কনটেন্ট এর মধ্যে ডাটা /স্ট্যাটিসটিক্সস/ অথবা রেফারেন্স নিয়ে আসতে পারলে সেইটা আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি অন্যদের থেকে অবশ্যই একটু হলেও বেনিফিটস পায়। যেমন ধরুন- কোনো রাইটার এর উক্তি অ্যাড করতে পারেন যদি সেটা আপনার কনটেন্ট এর সাথে রিলেভেন্ট হয়। অথবা লাইভ কোনো উদাহরণ দিতে পারেন যেটা মানুষ সচরাচর দেখে থাকে বা করে।


৭) ফ্যাক্ট গুলা চেক করে নিবেন

আপনি হয়তো জান‌নে যে, ইন্টারনেটে যে কেউ খুব সহজেই ভুল তথ্য, বানান ভুল বা অন্য যেকোন ত্রুটি ধরে ফেলতে পারে – যা কোনো ব্র্যান্ড এর রেপুটেশন এর জন্য ভালো নয়। কনটেন্ট লিখিয়ে নেয়ার পর বা লিখার পর আপনার ডাটা বা ইনফো গুলা আবার চেক করে নিন। আপনি আপনার কম্পিটিটর ওয়েবসাইট গুলো থেকেই ফ্যাক্ট চেক করে দেখতে পারেন সহজেই।

তাই আপনার তথ্য ভালো ভাবে পরীক্ষা করুন।


৮) এক্সটার্নাল লিঙ্কঃ

আপনি আপনার সাইটের অন্যান্য পৃষ্ঠাগুলির সাথেও লিঙ্ক করবেন, আর ভালো মতো চেক করবেন সমস্ত লিঙ্কগুলি কাজ করছে এবং সঠিক জায়গায় নির্দেশ করছে কিনা ৷

আপনি যেই কনটেন্ট লিখেছেন তা যদি অন্য কোনো ওয়েবসাইট এর সাথে মিল থাকে তাহলে তার লিংক আপনার কনটেন্ট এর সাথে অ্যাড করুন। এ‌তে নির্ভর যোগ্য বলে মনে হবে আপনার সাইট‌টি।

এছাড়াও বিশেষ ক্ষেত্রে, আপনি আপনার কনটেন্ট এ অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথেও লিঙ্ক করবেন; এটি আপনার প্রকাশ করা কন্টেন্টের জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন হবে।


সব শেষে বলা দরকার, যদি কোনো কনটেন্ট লিখেন তাহলে সেটাকে সময় নি‌য়ে বার বার পড়েন। এতে করে কনটেন্ট এর ধারাবাহিকতা ঠিক থাকবে, বাক্যে কোনো মিসমাস থাকলে তাও ধরা পড়বে।

Previous Post Next Post

Contact Form