কিয়ামত আলামত সম্পর্কে একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই জানা উচিত আপনার;-
কিয়ামত অর্থ মহাপ্রলয়, পুনরুত্থান। ইয়াওমুল কিয়ামা, অর্থ কিয়ামতের দিবস। কিয়ামত দিবসের আরো নাম আছে। যেমন: ইয়াওমুল জাজা বা প্রতিদান দিবস, ইয়াওমুল হিসাব বা হিসাবের দিবস, ইয়াওমুল বিচার দিবস, ইয়াওমুদ-দিন মানে শেষ বিচারের দিন, ইয়াওমুল হাশর বা সমাবেশের দিন, ইয়াওমুল জাময়ে মানে একত্রিত করার দিন, ইয়াওমুল বায়াছ মানে পুনরুত্থান দিবস।
কিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে?
হজরত জিব্রাঈল (আ.) ছদ্মবেশে মহানবী (সা.)-এর কাছে জিগেস করলেন, কিয়ামত কখন হবে? মহানবী (সা.) বলেন, জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি থেকে জিজ্ঞাসাকারী অধিক জ্ঞাত নয়। অর্থাৎ কিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে, তাহা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা।
আল্লাহ ইরশাদ করেন,
কিয়া-মতের জ্ঞান কেবল তাঁরই জানা। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোনো ফল আবরণমুক্ত হয় না এবং কোনো নারী সন্তান প্রসব ও গর্ভধারণ করে না। (সুরা : হা-মিম-সাজদা : ৪৭)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কিয়ামত কখন হবে? আপনি বলে দিন, এর খবর তো আপনার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তিনি তা পরিষ্কারভাবে দেখাবেন (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৮৭)
মহানবী (সা.) বলেন, গুপ্ত জ্ঞানের বিষয় পাঁচটি:
- কিয়ামত! তাহা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা।
- আগামী দিন কী ঘটবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
- কখন বৃষ্টি হবে, তাহা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা।
- কার কোথায় মৃত্যু হবে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
- কখন কিয়ামত হবে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। (সহিহ বুখারি)।
কিয়ামতের আলামত:
কিয়ামত ঘটার আগে কিছু নিদর্শন দেখা যাবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,
তারা কি শুধু এই অপেক্ষায় রয়েছে যে কিয়ামত তাদের কাছে হঠাৎ এসে পড়ুক। বস্তুত কিয়ামতের লক্ষণগুলো তো এসেই পড়েছে। সুতরাং এসে পড়লে তারা কিভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৮)
জিব্রাঈল (আ.) মহানবী (সা.) থেকে কিয়ামতের আলামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিয়ামতের একটি আলামত হলো, ছোট লোকের ঘরে বড়লোক জন্মগ্রহণ করবে।
আরেকটি হলো, নগ্ন পাবিশিষ্ট ও বস্ত্রহীন মেষচালক বিশাল বিশাল প্রাসাদ তৈয়ার করবে এবং এ কাজে তারা পরস্পর গর্ব করবে। অর্থাৎ একসময় যারা গরিব ছিল, পরবর্তী সময়ে তারা ধনী হয়ে অহংকারী হবে। (মিশকাত)
কিয়ামতের আগের সমাজব্যবস্থা যেমন হবে:
- সরকারি মালকে নিজের মাল মনে করা হবে।
- আমানত এর মালকে নিজের মালের মতো ব্যবহার করা হবে।
- জাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে।
- ইসলামী আকিদাবর্জিত বিদ্যা শিক্ষা করা হবে।
- পুরুষ নারীর অনুগত হবে।
- মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হবে।
- বন্ধুদের আপন মনে করা হবে।
- পিতাকে পর ভাববে।
- মসজিদে শোরগোল করবে।
- পাপী লোক গোত্রের নেতা হবে।
- সমাজে অসৎ ও নিকৃষ্ট লোকেরা জাতির চালক হবে।
- ক্ষতির ভয়ে কোনো লোককে সম্মান করা হবে।
- গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন হবে।
- মদপানের আধিক্য ঘটবে।
- উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের বদনাম করবে। (তিরমিজি)
কিয়ামতের নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে:
কিয়ামতের বড় আলামতসমূহ:
দাজ্জালের আবির্ভাব :: কিয়ামতের আগে মানুষকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে পূর্বদিক থেকে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। মক্কা-মদিনা ছাড়া সে সর্বত্র বিচরণ করবে। দাজ্জালের মাধ্যমে মানুষ দলে দলে গোমরা হয়ে যাবে । তবে খালেস ইমানদাররা তাকে চিনতে পারবে, তার দুই চোখের মাঝখানে কাফের লেখা থাকবে এবং ডান চক্ষু টেরা থাকবে। মহানবী (সা.) বলেন,
সকল নবী-রাসুলই তাহাদের উম্মতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন, তবে আমি তার সম্পর্কে বলছি, তার ডান চক্ষু টেরা, তোমাদের প্রভু টেরা নন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪০৮)
নবী করিম (সা.) বলেছেন, দাজ্জালের সময়কাল হবে ৪০; এ সম্পর্কে হাদিস বর্ণনাকারী ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমরা জানি না, ৪০ দ্বারা কী ৪০ মাস, নাকি ৪০ বছর বোঝানো হয়েছে। হজরত নাওয়াস ইবন সামআন (রা:) হতে বর্ণিত আছে যে ৪০ দিন হবে এক বছর, দ্বিতীয় দিন হবে এক মাস, তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহ, অবশিষ্ট ৩৭ দিন হবে আমাদের দিনের মতো (মোট ৩৬৫+৩০+০৭+৩৭=৪৩৯ দিন)। পৃথিবীর ধনসম্পদ দাজ্জালের কুক্ষিগত থাকবে। তার আদেশে বৃষ্টি হবে এবং জমিন থেকে ফসল উৎপন্ন হবে।
হজরত ঈসা (আ:) এর আগমন : হজরত ঈসা (আ.) কিয়ামতের আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মত হিসেবে পৃথিবীতে আগমন কর-বেন । তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন। তাঁর আগমনের পর পৃথিবীতে ইনসাফ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে । এরপর তাঁর ওফাত হবে। এক বর্ণনা মতে, হজরত ঈসা (আ:) কে রাসুল (সা.)-এর রওজা মুবারকের পাশে সমাহিত করা হবে।
ইয়াজুজ ও মাজুজের আবির্ভাব :-:
কিয়ামত এর আগে হজরত নুহ (আ.) এর ছেলে ইয়াফাসের বংশে ইয়াজুজ ও মাজুজের আবির্ভাব হবে ! মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
‘যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ-মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেওয়া হবে এবং তারা উচ্চভূমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে (কিয়ামত হবে না)। ’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৯৬)
তারা বর্বর, নিষ্ঠুর ও জালিম প্রকৃতির। তাদের জুুলকারনাইনের প্রাচীর দ্বারা আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে তারা প্রাচীর ভেঙে সমতল ভূমিতে চলে এসে হত্যাযজ্ঞ ও লুটতরাজ চালাবে। এদের রোধ করার ক্ষমতা কারো থাকবে না।
কিয়ামতের ১০টি বড় নিদর্শন:
মহানবী (সা:) বলেন, ১০ টি নিদর্শন যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা দেখতে পাবেনা, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা। ১০ টি নিদর্শন হলো=
- ধোঁয়া
- দাজ্জাল
- দাব্বাহ মানে, জমিন থেকে একটি জন্তুর বের হবে ।
- পশ্চিম দিকথেকে সূর্যোদয়, (কিয়ামতের ১০০ বছর আগে মাত্র একদিনের জন্য পশ্চিম দিকদিয়ে সূর্যউদয় হবে)
- হজরত ঈসা (আ.)-এর আগমন হবে।
- ইয়াজুজ-মাজুজের আগমন হবে।
- পূর্ব দিকের তিনটি ভূমিকম্প হবে।
- পশ্চিম দিকে ভূমিকম্প হবে।
- আরব উপদ্বীপের ভূমিকম্প হবে।
- ইয়েমেন হতে উত্থিত আগুন, যা মানুষকে তাড়িয়ে সমাবেশের স্থানে নিয়ে যাবে। (সহিহ বুখারি)
কিয়ামত আর কত দূর?
কিয়ামতের বড়-বড় আলামত এখনও পরিদৃষ্ট না হলেও ছোট ছোট আলামতগুলো এমনভাবে সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে,যা রোধ করার ক্ষমতা কারোনেই। কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান থেকে মানুষকে দূরে রাখার চেষ্টা করাহচ্ছে। বদদ্বীনি আচরণ ধীরে-ধীরে বিস্তার লাভ করছে। মানুষ থেকে নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। হিংসে, লোভ ও অহংকারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে । প্রতিযোগিতা করে অট্টালিকা নির্মাণ করা হচ্ছে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের পরিবর্তে দুষ্টের লালন ও শিষ্টের দমনের কার্যক্রম গর্বের সঙ্গে করা হচ্ছে। শিরক, বিদআত, নিফাক ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে, মিথ্যা, আমানতের খিয়ানত, ওয়াদা খিলাফ অহরহ হচ্ছে। সন্তান পিতা-মাতা শুধু অবাধ্য নয়, বরং পিতা-মাতাকে খুন করছে। পিতা-মাতার সন্তানকে আদর-স্নেহ দিয়ে মানুষ করার পরিবর্তে নিজেই হত্যা করছে। যা জাহেলি যুগেও করা হতো না। অন্যায়-অবিচার এত্ত প্রকট আকার ধারণ করেছে যে মানুষ অন্যায়কে অন্যায় মনে করছেনা। ন্যায়নীতির পরিবর্তে অন্যায়-জুলুম করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: অপারেটরদের থেকে আসা বিরক্তিকর প্রোমোশনাল মেসেজ বন্ধের উপায় | How to stop Airtel promotional SMS bd
নারী পর্দা করার পরিবর্তে পর্দাহীনতাকে অহংকারের বিষয় বানিয়ে নিয়েছে। সুদ-ঘুষ, মদ, জিনা-ব্যভিচার বেড়ে গেছে। জাহেলি যুগের মতো সুদকে ব্যবসার ন্যায় হালাল মনে করা হচ্ছে। ঘুষকে স্বাভাবিকভাবে দেখা হচ্ছে। মদপানকে তুচ্ছ করে দেখা হচ্ছে। পাঁচ বছরের বালিকা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যুবতীরা যুবকদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে। সমাজে সৎ ও নেককার লোকেরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। অসৎ ও দুষ্ট লোকদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। বদকর্মে পৃথিবী টইটম্বুর হয়ে যাওয়ার ফলে বলতে হয় কিয়ামত আর কত দূর। মহানবী (সা.) বলেছেন,
‘কিয়ামতের আগে অজ্ঞতা বেড়ে যাবে,ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে , মানুষের হৃদয় কঠিন হয়ে যাবে এবং মারামারি, হত্যাযজ্ঞ বেড়ে যাবে’_ (সহিহ বুখারি)
খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্বে, খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্ব, এটা প্রত্যেক জাতির ঈশ্বরের দ্বারা চূড়ান্ত এবং শাশ্বত বিচার। এই ধারণা সকল ক্যানোনিকাল ধর্মবাণীতে পাওয়া যায়, বিশেষকরে ম্যাথু ধর্মবাণীতে। খৃস্টান ভবিষ্যতবাদীরা মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের পরে এটি ঘটবে বিশ্বাস করেন, এবং সম্পূর্ণ ভূতকালবাদীরা খ্রীষ্টের পুন অগমনে ইতোমধ্যেই তা ঘটেছে বিশ্বাস করেন। সর্বশেষ বিচারের অনেক শিল্পসম্মত চিত্রায়ন অনুপ্রাণিত রয়েছে।
কিয়ামতের আলামত গুলো মোটামুটি একটি ক্রমধারা রক্ষা করে সাজানো হলো। তবে ভবিষ্যতের আলামতগুলোর সঠিক ধারা বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন,
" কিয়ামতের আলামত গুলো ( বড় ) একটির পর একটি এমন ভাবে প্রকাশ পাবে যেন একটি পুতির মালা কেটে দিলে তা একটির একটি পরতে থাকে। " ( আল জামী আস সাগীর ৩/১৬৭)
আল্লাহ বলেন -
তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে পড়ুক । বস্তুতঃ কেয়ামত এর লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে । সুতরাং কেয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে ? - (সূরা মুহাম্মদ :১৮ )
কেয়ামতের আলামতে অতীতে যা ঘটেছেঃ--
- চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়া।
- মুহাম্মদ(সা) এর মৃত্যু।
- কোনকারণে হাজার-হাজার মুসলিমের মৃত্যু (উমার (রা) এর সময় আমওয়াস এর প্লেগকে ধারনা করা হয়)।
- মদীনায় একটি বড়যুদ্ধ (ইয়াজিদের খিলাফতের সময় ৬৩ হিজরিতে আল হাররাজের যুদ্ধকে ধারনা করাহয়)।
- মুসলিমদের জেরুজালেম জয়।
- মুসলিমদের কন্সটান্টিপল জয়।
- মুসলিমদের দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ।
- মুসলিমদের সাথে লাল গাত্রবর্নের ছোট চোখওয়ালা, চুলের সেন্ডেল পরা জাতির যুদ্ধ (মঙ্গোলদের ইসলামিক রাজ্যে আক্রমনকে ধারনা করা হয়)।
- মুসলিম এবং অমুসলিম হলদে গাত্রবর্নের জাতিদের মধ্যে শান্তিচুক্তি (মঙ্গল , চাইনিজ ইত্যাদি)।
- ভন্ড নবী আবির্ভাব হবে (দাজ্জাল -যাদের আগমন চলছে )
কেয়ামতের আলামতে বর্তমানে যা ঘটছেঃ-
- উলঙ্গ,দুঃস্থ , খালী পায়ের মেষ পালক উঁচু দালান বানানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে ।
- দাসী তার মালিকের জন্ম দিবে।
- আরবের প্রতি ঘরে একটি ফিতনাহ প্রবেশ করবে।
- জ্ঞান গভীরতা নিয়েনেয়া হবে এবং অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে।
- মদ্যপান হালাল মনে করবে।
- অবৈধ যৌনাচার বিস্তার লাভ করবে।
- ভূমিকম্প বেড়ে যাবে।
- সময় অনেক দ্রুত যাবে।
- দুঃখ কষ্ট বেড়ে যাবে।
- রক্তপাত বেড়ে যাবে।
- কেউকোন কবরের পাশদিয়ে যাবার সময় ভাববে যদি সে তার পূর্বের মানুষের জায়গায় থাকত ।
- মানুষের মাঝে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাবে ; যারা নেতৃত্বের যোগ্যনা তারা নেতৃত্ব পাবে।
- মানুষ নামাজ এর জন্য একত্রিত হবে কিন্তু কোন ইমাম পাবেনা।
- গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে।
- মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবে।
- মুসলমানেরা শিরকে লিপ্ত হবে।
- ঘন ঘন বাজার হবে।
- আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
- লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল-দাড়ি রাঙ্গাবে।
- কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে।
- ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
- পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে।
- মহিলা লোকের জন্য এমন পোষাক আবিস্কার হবে যাহা পরিধান করার পরেও মহিলাদেরকে উলঙ্গ মনে হবে ।
- সুন্নাতী আমল সম্পর্কে গাফিলতী করবে।
- নতুন মাস এরঁেচাদ উঠার সময় বড় হয়ে উঠিবে ।
- মিথ্যা কথা বলার প্রচলন বৃদ্ধি পাবে।
- মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ঘটবে।
- হঠাৎ মৃত্যুর বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
কেয়ামতের আলামতে ভবিষত্যে যা যা আগামিতে ঘটবেঃ-
- ভূমি ধস হবে এবং চেহারা বিকৃতি শাস্তির দেখা দিবে ।
- মু’মিনের স্বপ্ন সত্য হবে ।
- প্রানহীন এবং হিংস্র পশু মানুষের সাথে কথা বলবে।।
- কাহতান গোত্র থেকে একজন সৎলোক বের হয়ে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিবেন ।
- প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফসল হবে না।
- সমাজ এ পুরুষের সংখ্যা কমতে থাকবে , নারীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। যতক্ষন না ১জন পুরুষের বিপ্রীতে ৫০ জন নারী হয় ।
- ইউফ্রেতিসে সোনা আবিষ্কার হবে, সেইসোনা লাভের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ হবে আর তাতে অনেকে মারাযাবে।
- রোমান (ইউরোপিয়ান) লোকেরা আ'মাক বা ওয়াবিক নামক জায়গায় যাবে আর মদীনা থেকে সেরা যোদ্ধাদের সেনাবাহিনী তাদের মুখোমুখি হতেযাবে।
- মুসলিমরা রোম জয় করবে ।
- ইমাম মাহদী আসবে।
- দাজ্জাল বা অ্যান্টিক্রিস্ট আসবে , তাহার ধোঁকাবাজির সকল উপাদান নিয়েবিশাল বিজয় পাবে। ইরানের ৭০,০০০ হাজার ইহুদী তার অনুসারী হবে।
- ঈসা (আ:) দামাস্কাসে নেমে আসবেন এবং মাহদীর পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বেন ।
- ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে মুসলিম (যেসব ইহুদী ও খ্রিস্টান যীশু (আ:) ফিরে আসার পরে তার উপর সত্যিকারের বিশ্বাস আনবে, তারাও এর অন্তর্ভুক্ত) ও ইহুদী ও অন্যান্য অমুসলিম-দের বড় একটি যুদ্ধ হবে।।
- ঈসা (আ:) দাজ্জালকে হত্যা করবেন লুদ-এর প্রবেশ পথে {বর্তমানে এটি ইসরাইলের একটি এয়ারপোর্ট ও মেজর মিলিটারি বেস।
- ঈসা (আ:) খ্রিস্টানদের ক্রশ ভেঙ্গে ফেলবেন , শুকর হত্যা করবেন । মিথ্যা খ্রিস্ট ধর্মের পতন ঘটাবেন|
- ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব হবে।
- ঈসা (আ:)-এর বাকী সময় অ-সাধারণ শান্তি ওসমৃদ্ধি বিরাজ করবে ।
- সবার এতোবেশি সম্পদ হবে যে যাকাত দেবার লোক পাওয়া যাবেনা।
- আরব এর বাগান এবং নদীর দেশে পরিণত হবে ।
- সমাজ ফের খারাপের দিকে যাওয়া শুরু করবে ।
- যুল-খুলসাহ দেব-মূর্তির চারপাশে আবারো জাওস গোত্রের নারীরা নিতম্ব দুলিয়ে তাওাফ করবে ।
- বশরার অধিবাসী-রা হিজাজের ভয়ংকর আগুন দেখতে পাবে ।
- পৃথিবীর তিনটি বড়-সেনাদল পৃথিবীতে নিমজ্জিত হবে । একটি পূর্বে , একটি পশ্চিমে , একটি আরবে।
- সরু-পায়ের আবিসিনিয়ান (মানে নিগ্রো) নেতা কাবা শরীফ-ধ্বংস করবে ।
- ধোঁয়ার বিশাল মেঘ আসবে ।
- সূর্য পশ্চিম দিকে উঠবে ।
- দাবা তুল-আরবরা আসবে , মুসা (আ:) এর লাঠি এবং সোলায়মান(আ) এ আংটি নিয়ে, সে মানুষের সাথে কথা বলবে , এবং ঈমানদার ওকাফেরদের চিহ্নিত করবে।
- একটী বাতাস এসে, সকল বিশ্বাসীদের আত্মা নিয়ে যাবে. তাদের মৃতু হবে।
- পৃথিবীতে ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রভু নেই’ বলার মতও কেউ থাকবে না।
- সবচেয়ে খারাপ লোকদের উপর-কিয়ামত আসবে।
- কিয়ামতের সবচেয়ে প্রধান-আলামত হিসেবে ঠিক আগের দিন ইয়েমেন থেকে একটা আগুনের আবির্ভাব হবেআর মানুষদের তাদের মিলিত হবার স্থানে একত্রিত করবে ।
- ইস্রাফিল (আ) এর শিঙা বাজবেন, যার ফলে সবাই মারা যাবে।