ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভা‌বে করা হয়? Ghornijor kobe hobe |techsohag.com

 

Bd weather how to nickname

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভা‌বে করা হয়? Ghornijor kobe hobe

আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানের সুবিধার্থে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিলে সাধারণ মানুষ তা সহজে মনে রাখতে পারে। ফলে মানুষের মাঝে সচেতনতা এবং হ্ম‌তির প‌রিমান কম হয়।

আগে ঘূর্ণিঝড় পরিচিতি পেতো বস্তুর নামে, জায়গার নামে কিংবা অন্যান্য উপায়ে। যার ফলে বিভ্রান্তির সৃ‌ষ্টি হ‌তো, সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হত। 

৬‌টি আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র ( RSMC বা Regional Specialised Meteorological Centres ) । বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে যে সব ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, সে সব ঘূর্ণিঝড়ের নাম কী হবে সে ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করে থা‌কে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত একটি আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র।   বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনস্থ আটটি দেশ – বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করবে। প্রায় ১৬ বছর আগে থেকে নামকরণের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।  এই আটটি দেশ প্রত্যেকে ৮টি করে নামের প্রস্তাব করেছিল। মোট ৬৪টি নাম নিয়ে তৈরি হয়েছিল একটি তালিকা। তালিকা প্রস্তুতির পর প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল ‘অনিল’- নামটি ছিল বাংলাদেশের পহ্ম হ‌তে দেওয়া।  তালিকা: ৮টি দেশের ৮টি করে মোট ৬৪টি নাম। দেশের নামের ইংরেজি বর্ণানুক্রমে এই তালিকা সাজানো হয়েছে। প্রথম নাম শুরু হয় প্রথম স্তম্ভের (বা কলাম) প্রথম সারি থেকে। তারপর পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে। যেমন: অনিল, অগ্নি, হিবারু … আম্পান। আম্পান ছিল এই তালিকার শেষ নাম।  বর্তমানে আরো পাঁচটি দেশ যুক্ত হয়েছে এই আটটি দেশের সাথে। নতুন যুক্ত দেশগুলো হল: ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, কাতার। ১৩টি দেশ মিলে ঘূর্ণিঝড়ের নামের আরেকটি তালিকা তৈরি করেছে। এতে স্থান পেয়েছে ১৩টি দেশের ১৩টি করে প্রস্তাবিত মোট ১৬৯টি নাম।   তালিকা:

ইদানিং ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও অর্থ জেনে নিই 

  • ফণী: এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ। এর অর্থ ‘সাপ’ (ফণা আছে যার)
  • আম্পান: প্রকৃত উচ্চারণ ‘উম পুন’ নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড, অর্থ ‘আকাশ’।
  • ইয়াস: ফারসি শব্দ। নাম দিয়েছে ওমান, অর্থ জুঁই।


সারাবিশ্বে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য রয়েছে ১৩টি দেশের ১৩টি করে প্রস্তাবিত মোট ১৬৯টি নাম।
এর পরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে প্রথম সারির প্রথম স্তম্ভে থাকা নাম ‘নিসর্গ’- যা বাংলাদেশের দেয়া নাম। নাম প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্তম্ভের শেষ পর্যন্ত গিয়ে তারপর আবার নতুন স্তম্ভ শুরু হয়। সুতরাং, এরপর পর্যাযক্রমে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম হবে গতি, নিভার, ইত্যাদি।


৬‌টি আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র ( RSMC বা Regional Specialised Meteorological Centres ) । বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে যে সব ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, সে সব ঘূর্ণিঝড়ের নাম কী হবে সে ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করে থা‌কে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত একটি আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র।   বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনস্থ আটটি দেশ – বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করবে। প্রায় ১৬ বছর আগে থেকে নামকরণের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।  এই আটটি দেশ প্রত্যেকে ৮টি করে নামের প্রস্তাব করেছিল। মোট ৬৪টি নাম নিয়ে তৈরি হয়েছিল একটি তালিকা। তালিকা প্রস্তুতির পর প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল ‘অনিল’- নামটি ছিল বাংলাদেশের পহ্ম হ‌তে দেওয়া।  তালিকা: ৮টি দেশের ৮টি করে মোট ৬৪টি নাম। দেশের নামের ইংরেজি বর্ণানুক্রমে এই তালিকা সাজানো হয়েছে। প্রথম নাম শুরু হয় প্রথম স্তম্ভের (বা কলাম) প্রথম সারি থেকে। তারপর পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে। যেমন: অনিল, অগ্নি, হিবারু … আম্পান। আম্পান ছিল এই তালিকার শেষ নাম।  বর্তমানে আরো পাঁচটি দেশ যুক্ত হয়েছে এই আটটি দেশের সাথে। নতুন যুক্ত দেশগুলো হল: ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, কাতার। ১৩টি দেশ মিলে ঘূর্ণিঝড়ের নামের আরেকটি তালিকা তৈরি করেছে। এতে স্থান পেয়েছে ১৩টি দেশের ১৩টি করে প্রস্তাবিত মোট ১৬৯টি নাম।   তালিকা:

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভা‌বে করা হয়?

ইচ্ছেমত একটি নাম দিলেই হলো ব্যাপারটা এমন নয়। এই নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও সব দেশকে মানতে হয় কয়েকটি নিয়ম কানুন। এখানে তুলে ধরা হল তার কয়েকটি নিয়ম:

  •  নামটি অবশ্যই  রাজনৈতিক দলের অথবা ব্যক্তি, ধর্মীয় ভাবনা ,বিশেষ সংস্কৃতি অথবা নারী-পুরুষ নিরপেক্ষ হতে হয় ।
  •  বিশ্বের জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে, সেভাবে নাম বাছাই করতে হবে।
  • নাম‌টি খুব বেশি রুক্ষ বা নির্মম যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।
  • নামটি হবে ছোট, উচ্চারণে সহজ এবং অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন অন্য কোনো সদস্য দেশের জন্য আক্রমণাত্মক না হয়।
  • ১ ‌টি নামের সর্বোচ্চ ৮ টি বর্ণ থাকতে পারবে ।
  • প্রস্তাবিত নামের স‌হিত লিখিত উচ্চারণ,শব্দের অর্থ ও কণ্ঠ-উচ্চারণ  দিতে হয় ।
  • যদি উপউক্ত নিয়ম কানুনগুলো সন্তোষজনকভাবে পালন না করা হয় তাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল যে কোনো নাম বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন।
  •  মহাসাগরের উপর ক্রান্তীয় কোনো ঘূর্ণিঝড়ের নাম কখনো পুনরাবৃত্তি করা হবে না।অর্থাৎ, একবার কোনো নাম ব্যবহার করলে তা আর ব্যবহার করা যাবে না। বিশ্বব্যাপী অন্য আর কোনো আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের ব্যবহৃত নাম ও ব্যবহার করা যাবেনা ।



Previous Post Next Post

Contact Form